পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । ৬১] স্বথেষ্ট সত্য নিহিত আছে। পৌরাণিকেরা, যে কোন ক্ষত্রিয়বংশের বর্ণনা করিতে গিয়া তাহার উৰ্দ্ধতন পুরুষদের সহিত সূৰ্য্যবংশ কি চন্দ্রবংশের একটা সম্বন্ধ দেখাইয়া থাকেন। সুতরাং স্কন্দপুরাণ-প্রণেতা স্থৰ্য্যবংশীয় মান্ধাতার অধস্তন পুরুষ হইতে যে ভগবান রামায়ুজাচার্য্যের আদি পুরুষ ক্ষত্রিয় রাজ হরতের জন্ম বর্ণনা করিয়াছেন, উহা অসঙ্গত হয় নাই । ভট্টেবাও যখন আধুনিক রাজপুত নৃপতিদের উদ্ধতন পুরুষকে স্বৰ্য্যবংশ চন্দ্রবংশ বলিয়া বুর্ণনা করেন । অতএব স্কন্দ-পুরাণ-প্রণেতার বর্ণনায় আশ্চর্য্যেব বিষয় কিছুই দেখা যায় না। প্রকৃত পক্ষে রামায়ণ ও মহাভারত-বর্ণিত মান্ধাতা অতি পুবাকালের নৃপতি হইলেও রামাতুজাচার্য্যের আবির্ভাবকালে র্তাহার অধস্তন বংশসমূহ ধারাবাহিক রূপে গণনা করা অসম্ভব নহে। সতাই হউক, আর কল্পিতই হউক, ঐ সকল বংশ পুরাণে যথাযথ ভাবে লিপিবদ্ধ আছে। তাহার পর, ভগবান নারায়ণের সহিত রাজ৷ হরতের সাক্ষাৎকারের কথা। উহা অলৌকিক হইলেও পুরাণকারদের নিত্য কার্য্যের মধ্যে গণ্য। যেখানেই কোন মহাপ্রভাবসম্পন্ন ঋষি কিংবা রাজাব উপাখ্যান আছে, সেখানেই দেবগণের আগমন এবং ঈশ্বর হইতে বরলাভের কথা প্রায়ই দেখা যায় । বোধ হয় পৌরাণিকদের বিশ্বাস ફ્રિન, કેક્ષત્ર উপাখ্যাম লিপিবদ্ধ না করিলে বর্ণনীয় মহাপুরুষগণের প্রকৃত-চরিত্র-মাহাত্ম্য প্রদর্শন করা হয় না। অতএব ভগবানের আদেশে বাজ হরীতের ব্রাহ্মণ্যtভ ও ভূতপুরীতে বসতি স্থাপন প্রভৃতি বর্ণনায় কোনরূপ বস্ময়ের কথা নাই। তাহার পর, “ভূতপুৰী-মাহাত্ম্য" কত দিনের, হাও আমাদের একবার বিবেচনা করিয়া দেখা উচিত । বিশেষ (به