শক্ত হও হৃদয় আমার, শক্ত হও! আজ তোমার বিসর্জ্জনের দিন! আজ ঐ কাবুল নদীর ধারের উষর প্রান্তরটার মতই বুকটাকে রিক্ত শূন্য করে’ ফেল্তে হবে। তবে না তোমার সমস্ত তৃষ্ণা, সমস্ত সুখদুঃখ বৈরাগ্যের যজ্ঞকুণ্ডে আহুতি দিতে পূর্ণ রিক্ততার গান ধরবে,—
“ওগো কাঙাল, আমায় কাঙাল করেছ
আরো কি তোমার চাই?
ওগো ভিখারী, আমার ভিখারী,—
পলকে সকলি সঁপেছি চরণে আর ত কিছুই নাই!—
আরো কি তোমার চাই?”
পেয়েছি—পেয়েছি! ওঃ, আজ দীর্ঘ এক বৎসরের পরে আমার প্রাণ কেন পূর্ণ-রিক্ততায় ভরে’ উঠেছে বলে’ বোধ হচ্ছে! ······এই এক বৎসর ধরে’ সে কি ভয়ানক যুদ্ধ মনের সাথে! এ সমরে কত কিছুই না মারা গেল!······বাইরের যুদ্ধের চেয়ে ভিতরের যুদ্ধ কত দুরন্ত দুর্ব্বার! রণজিৎ অনেকেই হ’তে পারে, কিন্তু মনজিৎ ক’জন হয়?—সে কেমন একটা প্রদীপ্ত কাঠিন্য আমাকে ক্রমেই ছেয়ে ফেল্ছে! সে কি সীমাহীন বিরাট শূন্য হয়ে গেছে হৃদয়টা আমার!—এই কি রিক্ততা?······ভোগও