তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও—আমি এই বাংলার পারে
|
১১
|
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
|
১২
|
যত দিন বেঁচে আছি আকাশ চলিয়া গেছে কোথায় আকাশে
|
১৩
|
এক দিন জলসিড়ি নদীটির পারে এই বাংলার মাঠে
|
১৪
|
আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে
|
১৫
|
কোথাও দেখি নি, আহা, এমন বিজন ঘাস—প্রান্তরের পারে
|
১৬
|
হায় পাখি, একদিন কালীদহে ছিলে না কি—দহের বাতাসে
|
১৭
|
জীবন অথবা মৃত্যু চোখে র’বে—আর এই বাংলার ঘাস
|
১৮
|
যেদিন সরিয়া যাব তোমাদের কাছ থেকে—দূর কুয়াশায়
|
১৯
|
পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত কোনখানে সফলতা শক্তির ভিতর,
|
২০
|
ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে
|
২১
|
ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে;
|
২২
|
যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে র’ব—অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে
|
২৩
|
আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির তীরে—এই বাংলায়
|
২৪
|
যদি আমি ঝ’রে যাই একদিন কার্তিকের নীল কুয়াশায়:
|
২৫
|
মনে হয় একদিন আকাশের শুকতারা দেখিব না আর
|
২৬
|
যে শালিখ মরে যায় কুয়াশায়—সে তো আর ফিরে নাহি আসে:
|
২৭
|
কোথাও চলিয়া যাব একদিন;—তারপর রাত্রির আকাশ
|
২৮
|
তোমার বুকের থেকে একদিন চ’লে যাবে তোমার সন্তান
|
২৯
|
গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে নীল ধোঁয়া সকালে সন্ধ্যায়
|
৩০
|