অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে
|
৩১
|
ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর—চিল একা নদীটির পাশে
|
৩২
|
খুঁজে তারে মর মিছে—পাড়াগাঁর পথে তারে পাবে নাকো আর;
|
৩৩
|
পাড়াগাঁর দু’-পহর ভালোবাসি—রৌদ্রে যেন গন্ধ লেগে আছে
|
৩৪
|
কখন সোনার রোদ নিভে গেছে—অবিরল শুপুরির সারি
|
৩৫
|
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সব চেয়ে সুন্দর করুণ:
|
৩৬
|
কত ভোরে—দু’-পহরে—সন্ধ্যায় দেখি নীল শুপুরির বন
|
৩৭
|
এই ডাঙা ছেড়ে হায় রূপ কে খুঁজিতে যায় পৃথিবীর পথে।
|
৩৮
|
এখানে আকাশ নীল—নীলাভ আকাশ জুড়ে সজিনার ফুল
|
৩৯
|
কোথাও মঠের কাছে—যেইখানে ভাঙা মঠ নীল হয়ে আছে
|
৪০
|
চ’লে যাব শুকনো পাতা-ছাওয়া ঘাসে—জামরুলে হিজলের বনে;
|
৪১
|
এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্ণে শান্তি আসে মানুষের মনে;
|
৪২
|
শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ—বহুকাল গেয়ে গেছ গান
|
৪৩
|
তবু তাহা ভুল জানি, রাজবল্লভের কীর্তি ভাঙে কীর্তিনাশা;
|
৪৪
|
সোনার খাঁচার বুকে রহিব না আমি আর শুকের মতন;
|
৪৫
|
কত দিন সন্ধ্যার অন্ধকারে মিলিয়াছি আমরা দু’জনে;
|
৪৬
|
এ-সব কবিতা আমি যখন লিখেছি ব’সে নিজ মনে একা;
|
৪৭
|
কত দিন তুমি আর আমি এসে এইখানে বসিয়াছি ঘরের ভিতর
|
৪৮
|
এখানে প্রাণের স্রোত আসে যায়—সন্ধ্যায় ঘুমায় নীরবে
|
৪৯
|
একদিন যদি আমি কোনো দূর মান্দ্রাজের সমুদ্রের জলে
|
৫০
|
দূর পৃথিবীর গন্ধে ভ’রে ওঠে আমার এ বাঙালীর মন
|
৫১
|
অশ্বত্থ বটের পথে অনেক হয়েছি আমি তোমাদের সাথী;
|
৫২
|
ঘাসের বুকের থেকে কবে আমি পেয়েছি যে আমার শরীর—
|
৫৩
|