২২
রূপসী বোম্বেটে
পারিলেন না। এই সম্ভ্রান্ত মজলিশে খানাতল্লাসীর প্রস্তাব করিতে কাহারও সাহস হইল না, শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ সে কথা মুখেও আনিলেন না।”
পূর্বোক্ত বক্তা ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া বলিলেন, “যদি কেহ এই হার পড়িয়া পাইয়া থাকেন, তিনি নিশ্চয়ই তাহা সিনোরাকে প্রত্যর্পণ পূর্ব্বক তাঁহার ও জনসাধারণের কৃতজ্ঞতাভাজন হইবেন; কিন্তু যদি কেহ লোভে পড়িয়া এই হার চুরী করিয়া থাকে, তাহা হইলে সুদক্ষ পুলিশের তাহা জানিতে বাকি থাকিবে না।—সেই ইতর তস্কর তাহার লোভের উপযুক্ত দণ্ড লাভ করিবে।”
সকলেই নির্ব্বাক্, নিস্তব্ধ, বিস্ময়ে স্তম্ভিত!
অর্দ্ধ ঘণ্টা পরে পুনর্ব্বার নৃত্য আরম্ভ হইল; ডাক্তার হক্সটন রাইমারব্যাপার কি তাহা বুঝিতে পারিল। চোরের উপর এসে সতর্ক দৃষ্টি রাখিল; সে স্থির করিল-যেমন করিয়া হউক সেই অপরিচিতা যুবতীর নিকট হইতে গজদণ্ড নির্মিত হণ্ডেল-বিশিষ্ট অঅস্ট্রিচ্ পক্ষের পাখাখানি হস্তগত করিতে হইবে।
ডাক্তার রাইমারের চক্ষু উৎসাহে জ্বলিয়া উঠিল; সে দেখিতে পাইল, পূর্ব্বোক্তা যুবতী পাখাখানি আন্দোলিত করিতে করিতে একজন সন্ত্রান্ত বেশধারী সামরিক কর্মচারীর সহিত হাসিয়া হাসিয়া গল্প করিতেছেন।
রাইমার মনে মনে বলিল, “কি আশ্চর্য! এমন দুঃসাহসের কাজ করিয়াও যুবতীর কিছুমাত্র সঙ্কোচ নাই, কুণ্ঠা নাই; যেন সে এই হারচুরী সম্বন্ধে কিছুই জানে না! চোরের এমন নিঃসঙ্কোচ সপ্রতিভ ভাব আর কখনও দেখি নাই। যুবতী অসাধারণ বুদ্ধিমতী। কিন্তু তোমার ঘটে যতই বুদ্ধি থাক, মেয়ে মানুষ চোর! আমার হাত