পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঙ্কজ আজ তাড়াতাড়ি বার হয়েছিল, পথে একটা কাজ সেরে আপিস যাবে। সুবালাও ছেলে কোলে বাসের জন্য কাছে এসে দাড়ায় । কই যাইবা ? কামে যাবু। কাম না করলে খামু কি ? সেই শাড়ীখানাই তেমনি আলগা করে পর, বোধ হয়। আর কাপড় নেই। পথে বার হবার জন্য সীথিতে সে বেশী করে সিদুর দিয়েছে, কপালে স্পষ্ট করে বড় ফোটা একেছে। পঙ্কজ সহানুভূতির সঙ্গে সায় দিয়ে বলে, তাতো বটেই। তোমার সোয়ামী কই ? সুবালা মুখ বাকিয়ে বলে, কে জানে উপায়ের ধান্ধায় কোন চুলায় C°iC፱ ] খানিক চুপ করে থেকে বাস আসছে দেখে পঙ্কজ হঠাৎ প্রশ্ন করে তুমি কি কাম করা ? সুবালা বলে, করি এটা ওটা যা পাই। টের পাওয়া যায়, কি কাজ করে স্পষ্ট জানাতে সে নারাজ । পুরো অপিস টাইমের মত ভিড না হলেও বাসে কিছু লোক দাডিয়ে আছে। পঙ্কজকেও দাড়াতে হয় । সুবালা বসে লেডিজ fs বসে পঙ্কজকে চমৎকৃত করে দিয়ে বুকের কাপড় সরিয়ে ছেলের মুখে মাই গুজে দেয়। গাড়ী বোঝাই পুরুষের মধ্যে নয়, সে যেন বসে আছে নির্জন ঘরের কোণে, এমনি সহজ নিব্বিকারভাবে মুখ তুলে শাস্ত দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। পঙ্কজ বুঝতে পারে এটা তার পুরুষদের তুচ্ছ করা, অবজ্ঞা করা নয়। এতগুলি পুরুষের দৃষ্টিপাত তার কাছে অতি সহজ স্বাভাবিক So