পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাপার , সুৰ্য যেমন বাসের জানাল দিয়ে তার গায়ে রোদ ফেলেছে। আলো ফেলছে, তেমনি সাধারণ ব্যাপার-এজন্য বিব্রত বা বিচলিত হবার কোনও কারণ তার নেই। বুক ফুলে ওঠে পঙ্কজের। এতো গেয়োমি, অসভ্যতা বা অশ্লীলতা নয়, এ যে বিদ্রোহ! তার দেশের এই কচি মা-টি যেন ইংরেজী মাকিনী নোংরামি ও অশ্লীলতা প্রচারের বিরুদ্ধে বাস্তব কাৰ্য্যকারী প্ৰতিবাদविgयांgश्त ५qक िकी दस्g eऊँीक । তোমরা সিনেমায় পারে, রং-বেরং সখের পত্রিকায় পারে, গোপন পুস্তিকা, গোপন ফটোতে পারো-দাম নিতে পারে, স্বার্থের খাতিরে পারে । আমি মা এই চিন্তায় নিজের যৌবন ভুলে গিয়ে সন্তান গায়ের রক্ত জল করা মধু পান করানোর প্রয়োজন পারে। কি, এমন সহজ স্বাভাবিক জোরের সঙ্গে তেজের সঙ্গে ? সুবালা কি কাজ করে সেদিনই যে নিজের চোখে দেখে জেনে যাবে পঙ্কজ কল্পনাও করে নি । নিজের কাজে সে নেমে যায় আগেই। কাজ সেরে আবার বাসে উঠে যেতে যেতে বড় একটা চৌমাথার কাছে বাস দাড়ালে সে দেখতে পায় পাশের রাস্তায় চৌমাথার কিছু তফাতে ফুটপাতে বসে গামছা বিছিয়ে ছেলেকে সামনে ধরে সুবালা ভিক্ষা করছে। পথে ঘাটে দেখা হলে বাড়ীতে এলে আশে পাশের মেয়েরাও জানতে চায়। সারাদিন সুবালা কোথয়ে থাকে, কি করে । কিভাবে সে দিন চালাচ্ছে জানিবার জন্য উদ্বাস্তু অসহায়া মেয়েদের দেখা যায় আরও বেশী কৌতুহল। রুগ্ন স্বামী আর তিনটি বাচ্ছা নিয়ে বিব্ৰত ইছামতী প্ৰায় ধন্না দেয়vets KrtC5 |