পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ६ ] বাউলের সেই দলভুক্ত ছিলেন না। এরা ছিলেন ইসলামী সুফী ( চিশতী-নিযামী ) শাখাভূক্ত ফকীর । বর্তমান গ্রন্থের প্রথম খণ্ডের SAS SSAS SSAS SSAS SSAMAA SAAAAA S SASMSMAAA S প্রতীক । এই চক্রের রহস্যভেদ র্যার করতে পারেন, তারা জরামৃত্যুর অতীত রাজ্যে পেছতে পারেন ব’লে উক্ত সাধক সম্প্রদায় মনে করেন— “চারিচত্রে ভেদ যদি যোড় মনে করে । না রহিবে রোগ পীড়া মৃত্যু পলায় ডরে । নিজ চন্দ্র ভেদ যদি করিবারে পারে । ঘর হইতে পঞ্চ আত্মা কভু নাহি লড়ে” । (শ্ৰীপ্রফুল্ল চক্রবর্তী। নাথ ধর্ম ও সাহিত্য ) এই ‘চত্রভেদ’ মানে, দেহে ধারণ করা । মতাস্তরে এই চারি চিজ পান বা ভক্ষণ করা। বীজমাগী সম্প্রদায় এই রস বা শুক্রকে পরমব্রহ্ম ব’লে মনে করে। মুসলিম সুফীরাও তান্ত্রিক যোগ মত র্তাদের সাধনার অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন । তাই তাদের গ্রন্থে ও গীতিতেও এই সব তান্ত্রিক পরিভাষা ব্যবহৃত হ'তে দেখা যায়, কিন্তু বলা বাহুল্য, সে সব সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে। ইসলামী স্বষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী—অাব (অপ', আতশ (তেজ), খাক (ক্ষিতি), ও বাত (বায়ু) এই চার চিজের দ্বারা জীব-দেহ গঠিত হ’য়েছে । সুক্ষ্ম আকারে এই চিজগুলি 'চারিচন্দ্র’ রূপে (আরবীতে বলে আরব আনাছির) জীব-দেহে অবস্থান করে । সুফীরাও (নাথপন্থীদের মত) বিশ্বাস করেন যে, সাধনার বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই চার চিজ মানব-দেহে সংরক্ষিত করে অসাধারণ আত্মিক শক্তি অর্জন করা সম্ভব । তাই বলে তা ভক্ষণ বা পান করতে হবে, এরূপ উদ্ভট ও বিকৃত ধারণা তাদের কল্পনারও অতীত, কেননা এই চার চিজই ইসলামী শাস্ত্রানুযায়ী জঘন্য নাপাক রূপে গণ্য। পনেরো শতকের সুফী কবি শেখ জাহিদ