পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 5 কি করে জানিলে তুমি পাঠে ভ্রান্তি হয় । এত শুনি সাই তারে বুঝাইয়া দিল। নাহি জানি লেখাপড়া ইহাই বলিল ।” কথিত আছে যে, মলম নাকি কুরআন শরীফের বিখ্যাত সুরা আর - রহমানের “বাইনাছম বারজাখুল্লা-ইয়াফ গিয়ান” স্থলে “বাইনাছম বারজাখুল্লা-ইয়ারজিয়ান” পড়ে ফেলায় লালন ভুলটি ধরে ফেলেন (আয়াত ২০ ) । এই ঘটনা থেকে লালনের কুরআন শরীফ সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের পরিচয় মিলে । • সে যাই হোক, এখন থেকে লালন মলমের বাড়ীতে (অর্থাৎ কুষ্টিয়া জিলার ছেউড়েতে ) বাস করতে থাকেন ; অল্পদিনের মধ্যেই তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন এবং তার বহু মুরীদানও জুটে যায় । এ-ব্যাপারে মলম শাহেরই কৃতিত্ব যে অধিক, এ-কথা বলা বাহুল্য। দুদ, শাহ, লিখেছেন— "নানা দেশ হ'তে শেষে আসে নানা জন । তর্ক করিতে কেহ করে আগমন । চক্কর ফক্কর আর মানিক মলম । কোরবান মনিরদ্দীন আসে কতজন ।।’’ সম্প্রতি অধম কাঙ্গাল রচিত 'সহী আক্কেল নামা’ নামে একখানি কলমী পুথিতে লালনের সংগে বাহ্য শরীয়তপন্থী মুনশী-মৌলবীদের কয়েকটি বাহাছের বিবরণ পাওয়া গেছে । ১. আয়াতটির বাংলা অর্থ হ’ল—“উভয়ের মধ্যে (লবণাক্ত ও মিষ্ট যে দুটি সাগরের পানিকে আল্লা সম্মিলিত ভাবে প্রবাহিত করেছেন) অনতিক্রম্য ব্যবধান রয়েছে”। অর্থাৎ পাশাপাশি প্রবাহিত অথচ উভয়েরই স্বাতন্ত্র্য বজায় আছে।