পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( sा ) মজার ব্যাপার এই যে, লালন চৈতন্যবাদের প্রশস্তি গেয়েছেন, কিন্তু চৈতন্তের সন্নাসবাদকে স্পষ্টই ব্যঙ্গ ক’রেছেন— ‘কেউ নারী ছেড়ে জঙ্গলে যায়, স্বপ্নদোষ কি হয় না সেথায়, আপন মনের বাঘে যারে খায় কে ঠেকায় রে ।” আবার লালনের শচী মাতাও বলেন— “ঘরে কি হয় না ফকীরী কেন হলি রে নিমাই আজ দেশান্তরী । ঘরে ফিরে চল রে নিমাই ঘরে সাধলে হবে কামাই বলে এই কথা কাদে শচীমাতা

  • লালন বলে লীলের বলিহারী” ।

একি চৈতন্যবাদের সমর্থন সুচক কথা ? কবি রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত চমৎকার ভাবে এই লালনশাহী মনোভাবের প্রকাশ করেছেন তার ‘ক্ষণিক ‘ কাব্যে— “আমি হবনা তাপস হবনা হবনা যদি না মেলে তপস্বিনী ।” অথবা তার স্পষ্ট উক্তি – “আমি বৈরাগ্যের নাম করে শূন্য ঝুলির সমর্থন করিনে" । তুং—’ল রাহবানীয়াত ফীল ইসলাম’–ইসলামে সংসার-বৈরাগ্য নেই । —আল হাদিস ।