পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ | নামে প্রসিদ্ধ। ভগবান পদ্মযোনি ব্রহ্মস্বরূপী ব্ৰহ্মবাদী সেই নয় জন মানসপুত্রের পূর্বমত স্থান কল্পনা করিয়া সঙ্কল্প ও মুখাবহ ধৰ্ম্ম স্বজন করিলেন। সৰ্ব্বলোক-পিতামহ ভীবানু ব্ৰহ্মা ব্যবসায় হইতে ধৰ্ম্ম ও সঙ্কল্প স্বষ্টি করিলেন। সেই সঙ্কল্প হইতে ব্ৰহ্মার রুচি নামে মানসপুত্র জন্মগ্রহণ করিল। , দক্ষ প্রাণ হইতে, মরীচি চক্ষুদ্বয় হইতে, ভৃগু হৃদয় হইতে, অঙ্গির মস্তক হইতে, অত্রি শ্রবণ হইতে, পুলস্ত্য উদান দেশ হইতে, পুলহ ব্যানদেশ হইতে বসিষ্ঠ, সমান দেশ হইতে ও ক্রতু তাহার অপানদেশ হইতে উৎপন্ন হইল। ইহঁার ব্রহ্মার একাদশ দিব্য পুত্র বলিয়া খ্যাত। প্রথমোৎপন্ন ধৰ্ম্ম প্রভৃতি সকলেই ব্ৰহ্মার পুত্র। পূৰ্ব্বোক্ত ভৃগু প্রভৃতি নয় জন ব্রহ্মবাদী, গৃহস্থও ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক । ঋতু ও সনৎকুমার, ইহার উৰ্দ্ধরেত, প্রথমোৎপন্ন বলিয়া সকলের অগ্রজ, প্রাচীন ও লোকসাক্ষী। ইছারা অষ্টম কল্প অতীত হইলে তেজের সংক্ষেপ করিয়া আছেন। ইহারা উভয়েই যোগী, সুতরাং আত্মায় আত্মা আরোপিত করিয়া প্রজ, ধৰ্ম্ম ও কাম পরিত্যাগপূৰ্ব্বক বৈরাগ্য আশ্রয় করিয়াছেন। সনৎকুমার উৎপন্ন অবস্থায় আছেন বলিয়া ঐ কুমার নামে খ্যাত । পরে ধ্যান করিবামাত্র মানসী প্রজা উৎপন্ন হইল । র্তাহার গাত্র হইতে কাৰ্য্য ও কারণসহকারে ক্ষেত্ৰজ্ঞ স্বষ্টি হইল। অনস্তর ভগবান মনুষ্য, পিতৃ-পুরুষ, বেদ, অঙ্কুর ও এই জলরাশি স্থষ্টি করিবার ইচ্ছায় আত্মযোগ করিলেন। উহা করিবামাত্র তমোমাত্র সমূৎপন্ন স্থষ্টি হইল। তাহার জঘনদেশ হইতে প্রথমে অঙ্কুর নামে পুত্র জন্মিল। অমু অর্থাৎ প্রাণ হইতে জন্ম বলিয়া উহার অমুর নামে বিখ্যাত। পরে তিনি যে শরীরে সুরগণের স্বষ্টি করিয়াছিলেন, তাহা পরিত্যাগ করিলেন। উহ! পরিত্যাগ করিবামাত্র সৌভর রাত্রি উদ্ভূত হইল । প্রজাগণ ঐ রাত্রিকালে তমসাবৃত হওয়ায় নিদ্রাগত হইয় থাকে । ১৫২—২০১ । তদনন্তর ব্ৰহ্মা রজেরূপিণী অন্ত এক তনু ধারণপূর্বক মনে যে সকল পুত্রের স্বষ্টি করিলেন, রজঃপ্রিয় সেই পুত্ৰসকল মানসপুত্র বলির বিখ্যাত হইলেন। মনস্বী ব্ৰহ্মা সেই শরীরেই মনুষ্য-পুত্র স্বষ্টি করিলেন। তদনন্তর, প্রজাপতি অঙ্কুর স্বষ্টিকরিয়া সত্ত্ববহুলা অব্যক্ত অস্ত তনু আশ্রয় করিলেন। সনৎকুমার সেই তমুর পূজা করিলেন । তদনন্তুর তাহার সেই শরীরে যোগ নিয়োগ করাতে মন প্রসন্ন হইল। তাহার মুখ হইতে দেবলগীল দেবতাগণ উৎপন্ন হন। প্রজাগণ দেবতা ۹ ه د নামে বিখ্যাত ; যেহেতু সেই প্রজাপতি হইতে ক্রীড়া পরায়ণরূপে তাহারা উৎপন্ন হইয়াছিলেন, এই নিমিত্তই দেবতা নামে প্রসিদ্ধ। দেবশ্রষ্টা তাঙ্কদিগকে স্থষ্টি করিয়া, অন্ত এক শরীর আশ্রয় করিলেন। তাহার পরিত্যক্ত সেই শরীর দিনরূপে পরিণত হইল ; অতএব • দেবগণ ধৰ্ম্মকর দিনের উপাসনা করেন। তদনন্তর প্রজাপতি শুদ্ধ সত্ত্বস্বরূপ অপর একটী শরীর অবলম্বন করিলেন । স্বয়ং জনকন্মস্ত হইয়া ধ্যানপরায়ণ প্রজাপতি যে পুত্ৰগণের স্বষ্টি করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, দিন ও রাত্রির সন্ধিকালে র্তাহার। উভয় পার্শ্ব হইতে উৎপন্ন সেই সস্তানগণ পিতৃ নামে প্রসিদ্ধ হইলেন। প্রজাপতি যে শরীর অবলম্বন করিয়া পিতৃগণকে স্বষ্টি করিলেন, তৎক্ষণাৎ পরিত্যক্ত সেই শরীর সন্ধ্যারূপে প্রকটিত হইল । দেবতাগণের দিন এবং অনুরকুলের রাত্রি উভয়ের অস্তগত পিতৃগণের সন্ধ্যাই সৰ্ব্বাপেক্ষা গরীয়সী । অতএব দেব, অমুর, ঋষিকুল এবং মানবগণ আনন্দিত হইয়া দিন ও রাত্রির মধ্যগত সন্ধ্যাস্বরূপা তমুর উপাসনা করেন, উক্ত প্রজা স্বাক্ট করত স্বকীয় সেই শরীর পরিত্যাগ করিলে তাহাই জ্যোংস্নারূপে পরিণত হইল। সেই জ্যোৎস্নার উদয়ে প্রজাবৃন্দ আনন্দিত হয়। মহাত্মা ব্ৰহ্মা এই সকল শরীর পরিতীাগ করিবামাত্র উক্তক্রমে রাত্রি দিন সন্ধ্যা ও জ্যোংস্ত্রীরূপে পরিগণিত হইল। জ্যোংস্না, সন্ধ্যা এবং দিন-স্বরূপিণী তনু সত্ত্বাত্মিক রাত্রিরূপ তনু মাত্র তমঃস্বভাৱ তাহাই নিশা বলিয়া প্রসিদ্ধ। প্রজাপতি আনন্দিতচিত্তে দিবারূপ তনু-খুর মুখ হইতে র্যাহদের স্বষ্টি সাধন করেন, দিবসে বলবান্‌ ৰ্তাহারা দিবা বলিয়া বিখ্যাত। লোকপ্ৰভু জঘন হইতে যে শরীর স্বারা অসুরগণের স্বষ্টি করেন, প্রাণ হইতে রাত্রিকালে জাত অসুরগণ সেই নিমিত্ত নিশি বলিয়া বিখ্যাত। অতীত এবং ভবিষ্যৎ মন্বস্তুরেও দেব, অমুর, মানব ও পিতৃগণ ব্ৰহ্মার উক্ত স্থান সকল হইতে উৎপন্ন হন। জ্যোৎস্ক, রাত্রি, দিন এবং সন্ধ্যা এই চারিটি ; যাহা অস্তুরূপে ভাসমান হয় ; পণ্ডিতগণ তাহাকেই অস্ত (জল) বলেন। ১৯২—২২১। ভাবাতু দীপ্তি অর্থে উক্ত হয় ; প্রজাপতি জল স্বাক্ট করিয়া দেব, মানব, দানব এবং পিতৃগণ ও অপ্তান্ত নানাপ্রকার স্থষ্টি করত সে তনু ত্যাগকরিলেন। তদনন্তয়, অঙ্গ, শরীর অবলম্বনপুৰ্ব্বক জ্যোংস্ক স্বষ্টি করিলেন। তারপর প্রজাপতি তমঃ এবং রজঃপ্রায় শরীর জবলক, পূৰ্ব্বক অন্ধকারে ক্ষুধাকুল অন্ত যে সকল প্রজাস্বটি