পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। হইতে শিখুiযুক্ত, শ্বেতবর্ণ নেত্রপ্রাপ্ত, নখকরবরণ-সকল রক্তবর্ণ, একটি কুমার উৎপন্ন হইল। স্ত্রীমৎ বিশ্বমুখ ব্ৰহ্মা, সেই পুরুষকে দর্শন করিয়া ব্রহ্মরূপী ঈশ্বর সদ্যোজাত শিশুকে চয়ে কবিয়া eধ্যানযোগপর হইলেন। ধানযোগে সেই সদ্যোজাত শিশুকে ঈশ্বর জানিতে পাবিয়া বন্দনা করিলেন । অনন্তর ব্রহ্মা, তিনি ব্রহ্মা এই চিত্ত| করিতে লাগিলেন। অনন্তর ইহার পাশ্বে সুনন্দ, নন্দন বিখনন্দন, উপুনন্দন, এই সকল মহাযশা শ্বেতবর্ণ র্তাহার শিষ্যপে প্রাচুর্ভূত হইলেন ; তাহারা সদ্যোজাতরূপী বন্ধ সেবা করেন। র্তাহার অগ্ৰে শ্বেতবর্ণ মহাতেজ শ্বেতনামে মহামুনি উৎপন্ন হইলেন। সেই হেতুক শ্বেত মুনিই হব। সেই সময় সেই শৌনকাদি ঋষিগণ পৰম ভক্তিসহকারে শাশ্বত ব্ৰহ্মপদ ইচ্ছা করত সদ্যোজাত মহেশ্বরের শরণাপন্ন হইলেন। যে দ্বিজগণ প্রাণাযাঃ পর ও ব্রহ্মতৎপর-মানস হইয় দেবদেব বিশ্বেশ্বলেপ শরণাপন্ন হয়, তাহাবা সকলে নিৰ্ম্মলান্তঃকরণ, পাশ নির্মুক্ত ব্ৰহ্মতেজঃ সম্পন্ন হইয| বিষ্ণুলোক অতি 1ম পুৰ্ব্বক রদ্রলোক গমন করেন। ১—১১ ॥ একাদশ অধfষ সমাপ্ত । দ্বাদশ অধ্যায়ু । গুত কহিলেন, রক্তকল্প ত্রিংশত্তম জানিবে । যে কল্পে মহাতেজ ব্রহ্ম, পুত্রকামনা করিলে রক্তভূষণ নামে মহাতেজ কুমার প্রাদুর্ভূত হইল। যাহার ಫಿ, রক্তমালা, উত্তরাধ রক্তবস্ত্র, নয়নদ্বয় রক্তবর্ণ। অতিশয় প্রতাপশালা ব্ৰহ্মা, রক্তবাসা মহাত্ম কুমারকে দর্শন করিয়া পরম ধান আশ্রয় করত তহিকে ঈশ্বরজ্ঞান করিলেন । জগংরথের পরম সারথি ভগবান ব্রহ্ম। সেই বামদেব কুমারকে প্রণাম করিয, ইনিই ব্রহ্ম, এইরূপ চিন্তা করিলেন এবং পরমেশ্বর-বোধে মহ|দেবকে স্তব করিলেন। সর্বস্বরূপ ও লোকস্থায়বিং সেই পুরুষ, পিতামহ ব্ৰহ্মাকে এই কথা বলিলেন। হে পিতামহ । যেহেতুক তুমি পুত্ৰকামনায় আমার ধ্যান এবং ব্রহ্মপূর্বক অর্থাৎ বামদেবায় এই মন্ত্র উচ্চারণ পুৰ্ব্বক স্তব করিয়াছিলে ; সেই জন্ত আমাকে দেখিতে 獻" প্রতিকঙ্গে অতি যত্নসহকারে ধ্যানথল করিয়া প্রসংg্যাত অর্থাৎ সাংখ্য শাস্ত্রোক্ত লোকাখার-ভূত ও নিগ্ৰহনুগ্রহ-সমর্থ আমাকে জানিতে পরিবে। মনস্তর উtহার চারিটী কুমার উৎপন্ন হইল। "হারা অতি বিশুদ্ধ, ব্রহ্মসদৃশ బీ তেজঃসম্পন্ন ও মহাত্মা । তাহাদিগের নাম বিরঞ্জ, বিবান্ত বিশোক ও বিশ্ব ভবন ইহার বীর ও অধ্যবদাষী ইহাদিগের পরিধেয় রক্তবস্ত্র, ইহুদিগের গলে বক্তমাল্য , গাত্রে রক্তচন্দন রক্তকুঙ্কুম অনুষ্টিপ্ত এবং বক্ত ভস্মের অনুলেপন সুশোভিত। অনস্তর সহস্র সরান্তে এই মহাত্মাব। ব্ৰহ্মই অধ্যবসায়ী এবং বামদৈবিক মগুচিস্তাপরায়ণ লেকের অনুগ্রহার্থ শিষ্ট্রগণের হিতকামনার্থ অখিল ধৰ্ম্মের উপদেশ করিয়া ব্রহ্মর প্রীতিকর হইয়াছিলেন। তৎপরে ' তাহারা পুনরায় অব্যয়রুদ্র মহাদেবে প্রবিষ্ট হইলেন। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ ! অন্ত র্যাহারা সমাধি অবলম্বনে ৰাম (সুন্দর ) ঈশ্বর ধ্যান করত মহদেব সাক্ষাংকাব কবিবেন । তাহার শিবভক্ত ও তৎপবষণ। নিৰ্ম্মলমন, ব্রহ্মচাবী ইছারা সকলে পাপনির্মুক্ত হুইযা পুনরাবৃত্তি-দুর্লভ রুদ্রলোকে গমন কবিবেন । ১—১৫ ॥ দ্বাদশ অধ্যায় সম{প্ত । স্থত কহিলেন,—একত্রিংশংকঞ্জ পীতবাস। এই নামে খ্যাও ; যে কল্পে মহাভাগ ব্ৰহ্মা পীতবাসী হইয়া ছিলেন। ধ্যানশীল, পুত্রকামী পৰমেষ্ঠী ব্ৰহ্মার পীত বম্বপ্নকু মহাতেজ কুমার জন্মিল । তাহার ক্ষয় পতন্ধে অনুলিপ্ত ; পীতমল্যে ও পীত উত্তরী_ বসনীেস্থশোভিত। তিনি যুবাপুৰুষ, সুবর্ণময় যজ্ঞোপবীতধারী, পীতবর্ণ উীষশলী ও মঙ্গভুজ ধ্যানসংযুক্ত ব্ৰক্ষা তাহাকে দর্শন করিয়া লোকাধার ভূতবিভু মহেশ্ববের শরণাপন্ন হইলেন। সেইকালে ধ্যানগত ব্রহ্মা মহেশ্বরমুখনিৰ্গত বিশ্বরূপ, শ্রেষ্ঠা মাহেশ্বরী গোদর্শন করিলেন । চতুষ্পাদ, চতুৰ্বক্ল, চতুর্হস্তা, চতুর্নেত্ৰ চতুঃশুঙ্গী চতুর্দংষ্ট্র, চতুর্মুখী এবং ঋত্রিংশংগুণযুক্ত ধিবদনা ও ঈশ্বরী মহাতেজ সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত মহাদেবী গোদর্শন করিয়া সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত মহাদেবীকে পুনরায় কহিলেন ; মতি, স্মৃতি ও বুদ্ধি এই নামে আমি পুনঃপুনঃ গীর্মান হুই, হৈ মহাদেবি ! এইখানে আগমন কর, মহাদেব এইরূপ কহিল, সেই মহাদেবী মহেশ্বরী কৃতাঞ্জলি হইয়া আগমন করত তাহকে কহিলেন,~~ “হে জগংগুরো ! যোগ স্বারা বিশ্ব আবৃত করিয়া সকল গুগং, বশে আনয়ন করুন। অনন্তর, দেবরাষ্ট্র মহাদেব তাহাকে কহিলেন,-“হে দেবি ! তুমি রুজাণী হইবে, অধিক আর কি বলিব, ব্রাহ্মণগণের দ্বিতার্থে