পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অষ্টত্রিংশ পরিচ্ছেদ।


উপসংহার।

 এই বিস্ময়কর ও বিচিত্র ঘটনাপূর্ণ জীবনীতে আমাদিগের বলিবার বিশেষ কিছুই নাই,—বিশেষতঃ চিরপ্রসিদ্ধ ভীরু কাপুরুষ বাঙ্গালীজাতির মধ্যে এরূপ কয়জন দেখা যায়? সুবিখ্যাত নাথেরয় যুদ্ধে জয়লাভ করিয়াই তিনি পদাতি সৈন্যদলের প্রথম লেফ্‌টেন্যাণ্ট পদলাভ করিয়া অবধি কেবল যে নানা যুদ্ধবিগ্রহেই নিযুক্ত ছিলেন, তাহা নহে, সঙ্গে সঙ্গে নিজ বৈষয়িক বিষয়েও ক্রমে উন্নতি লাভ করিতে লাগিলেন। সৌভাগ্যবশতঃ এক্ষণে সুরেশচন্দ্র রায়ো-ডি জেনিরো নগরীমধ্যে সুকুমারমতি পুত্রকন্যা পরিবৃত একজন বর্দ্ধিষ্ণু ব্যক্তি। তাঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্রের বয়ঃক্রম এক্ষণে প্রায় আট বৎসর। সামাজিক ও আর্থিক, কোন বিষয়েই তাঁহার অভিযোগের বা অসন্তোষের বিশেষ কোন কারণই নাই। চতুর্দ্দশ বৎসর বয়ঃক্রম হইতে সুরেশচন্দ্র সংসার সমুদ্রের ভীষণ তরঙ্গ ও প্রবাসে ওতপ্রোত হইয়া এক্ষণে সুখ,সম্পদ, যশ ও ঐশ্বর্য্যের তৃপ্তিভোগ করিতেছেন। কুজ্‌ঝটিকা ও প্রবল বাত্যায় অবসানে স্থিররায়ু ও নির্ম্মল গগন অথবা মহাবিপ্লবের পর শান্তির অবস্থা সদৃশ সুরেশচন্দ্র আজ বিমল আনন্দ ও অতুল ঐশর্য্যরাশির