পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু এস্থলে আমাদিগকে বিশেষ দুঃখের সহিত বলিতে হইল যে, লেফ্‌টেন্যাণ্ট-সুরেশ সম্বন্ধে আমরা অনেক অসন্ধান করিয়াছি, পত্রাদিও লিখিয়াছি, কিন্তু এ পর্য্যন্ত তাহার কোন উত্তর পাই নাই। যে সকল পত্র আমরা তাঁহাকে লিখিয়াছিলাম, তৎসমুদায় পুনরায় আমাদিগের নিকট ফিরিয়া আসিয়াছে, কিন্তু ইহার অর্থ কি, তাই আমরা বলিতে বা অনুমান করিতেও পারি নাই, তথাপি আমাদিগের বিশ্বাস যে, তিনি এখনও ব্রেজিল দেশীয় সেনানী মধ্যে অলঙ্কার রূপে অবস্থান করিতেছেন এবং অধিকতর পদমর্য্যাদা লাভ করিয়া থাকিবেন। এস্থলে ইহাও আমাদিগের বক্তব্য যে, ব্রেজিলদেশীয় প্রথম লেফ্‌টেন্যাণ্টের পদ নিতান্ত সামান্য বা নগন্য নহে, কেন না রেজিমেণ্টের উহা দ্বিতীয় পদ।

 আমরা এস্থলে মিঃ পুনাণ্ডো লিমস নামক সুরেশের একজন স্থানীয় বন্ধুর একখানি পত্র উদ্ধৃত করিলাম। এই পত্রখানি পাঠ করিলে বেশ বুঝা যাইবে যে, সুরেশ কিরূপ বীরকীর্ত্তি লাভ করিয়াছেন, এবং শত্রুগণ যে বাঙ্গালীকে কুৎসা করিয়া থাকে—ঘৃণা করিয়া থাকে, তাহাও বিদূরিত হইবে। সুরেশের বীরত্ব ও সময় নিপুণতা দেখিলে বাঙ্গালী যে জগতে নিন্দিত ও ঘৃণিত তাহার অপনোদন হইবে। বিলাতের সুবিখ্যাত প্রাচীন ও ক্ষমতাশালী, বাঙ্গালী-বৈরি ‘টাইমস্ নামক পত্রও স্বীকার করিয়াছেন যে, যে বাঙ্গালী জাতি এক সময়ে—এক যুগমধ্যে সুরেশ বিশ্বাস, জগদীশ বসু এবং অতুল চট্টোপাধ্যায় প্রসব করিতে পারে, সে জাতিকে কিছুতেই ঘৃণা করা যাইতে পারে না।

 উল্লিখিত মিঃ পুনাণ্ডো লিমস, ১৮৯৪ খৃঃ অব্দে মার্চ্চ মাসে