শকুন্তলা, কৃত্রিম কোপ প্রদর্শন করিয়া, কহিলেন অনসুয়ে! আমি চলিলাম, আর আমি এখানে থাকিব না। অনসূয়া কহিলেন সখি কি নিমিত্তে? শকুন্তলা বলিলেন দেখ, প্রিয়ংবদা মুখে যাহা আসিতেছে তাহাই কহিতেছে; আমি যাইয়া আর্য্যা-গোতমীকে কহিয়া দিব। অনসূয়া কহিলেন সখি! অভ্যাগত মহাশয়ের এ পর্য্যন্ত অতিথি সৎকার করা হয় নাই; ইহাঁকে পরিত্যাগ করিয়া তোমার চলিয়া যাওয়া উচিত নহে। শকুন্তলা কিছু না বলিয়া চলিয়া যাইতে লাগিলেন। তখন প্রিয়ংবদা শকুন্তলাকে আট্কাইয়া কহিলেন সখি! তুমি যাইতে পাইবে না। আমার দুই কলসী জল ধার; আগে শোধ দাও, তবে যাইতে দিব। এই বলিয়া শকুন্তলাকে বলপূর্ব্বক নিবারণ করিলেন। রাজা কহিলেন হে তাপসকন্যে! তোমার সখী বৃক্ষসেচন দ্বারা অতিমাত্র ক্লান্ত হইয়াছেন, আর উহাকে,পল্বল হইতে জল আনাইয়া,অধিকতর ক্লান্ত করা অনুচিত। আমি তোমার সখীকে ঋণমুক্ত করিতেছি। এই বলিয়া, অঙ্গুলি হইতে অঙ্গুরীয় উন্মোচন করিয়া, জল কলসের মূল্যস্বরূপ প্রিয়ংবদার হস্তে অর্পণ করিলেন।
অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা, অঙ্গুরীয়মুদ্রিত নামাক্ষর পাঠ করিয়া বিস্ময়াপন্ন হইয়া, 'পরস্পর মুখ নিরীক্ষণ করিতে
৩