বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌন্দর্যের সকরুণতা সমস্ত তারা এমন ডাক ডাকল, কাননের সমস্ত ফুল এমন ডাক ডাকল — দরজা রুদ্ধ— কেউ শুনল না। এমন স্বন্দর জগতে জন্মালুম, এমন স্বন্দর আলোকে চোখ মেললুম— সেখানে কি কেবল কাজ ! কাজ ! কেবল প্রবৃত্তির কোলাহল । কেবল এই কলহ, মাৎসর্ষ, বিরোধ। সেখানে এরাই কি সকলের চেয়ে প্রধান ! এই সুরেই কি সুর্য চন্দ্র স্বর মেলাচ্ছে! এই স্বরেই কি স্থর ধরিয়েছিলেন যেদিন জননী শিশুকে প্রথম মুখচুম্বন করলেন ! এত বড়ো আকাশ, তার এমন নির্মল নীলিমা, একে মানব না ! পৃথিবীর এমন আশ্চর্য প্রাণবান গীতিকাব্য, একে মানব না ! সেইজন্যই জগতের সৌন্দর্যের মধ্যে এমনি একটি চিরবিরহের করুণা। প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমাস্পদের বিচ্ছেদ হয়েছে ; মাঝখানে স্বার্থের মরুভূমি । সেই মরুভূমি পার হয়ে ডাক আসছে ‘এসো এসো ; সেই ডাকের কান্নায় আকাশ ভরে গেল, আলোক ফেটে পড়ল । কিন্তু, যিনি উৎসবের দেবতা তিনি অপেক্ষা করতে জানেন। এই মরুভূমির ভিতর দিয়ে তিনিই পার করছেন, পথহারাদের ক্রমে ক্রমে পথে টেনে আনছেন। দুঃখের অশ্রুতে তার মিলনের শতদল বিকশিত হচ্ছে। তিনি জানেন যে বধির সেও শুনবে, চিরযুগের রুদ্ধ দ্বার একদিন খুলবে, পাষাণ একদিন গলবে। এই বাধা-বিরোধের ভিতর থেকে তিনি টেনে নেবেন । | 4. মামুষের জাগরণ সহজ নয় বলেই তার মূল্য যে এত বেশি। এই জাগরণের জন্য যুগযুগ যে অপেক্ষা করতে হয়। যেদিন জাগবে মাস্থ্য সেদিন পাখির গানের চেয়ে তার গানের মূল্য অনেক বেশি হবে, ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে তার সৌন্দর্য অনেক বেশি হবে। মাহুৰ আজ বিদ্রোহ করছে, কিন্তু ঝড়ের মেঘ যেমন শ্রাবণের ধারায় বিগলিত হয়ে \రి\9)