বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন সেদিন ইচ্ছা করে সে বিপদকে বরণ করবে। " প্রিয়তম যে জাগবেন সে খবর পাব কেমন করে ? গান যে বেজে উঠবে। কী গান বাজবে ? সে তো সহজ গান নয়, সে যে রুদ্রবীণার গান। সেই গান শুনে মানুষ বলে উঠবে, ‘সৌন্দর্বে অভিভূত হব বলে এ পৃথিবীতে জন্মাই নি। সৌন্দর্যের সুধারসে পেয়ালা ভরে তাকে নিঃশেষে পান করে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে চলে যাব।’ মাধুর্যের প্রকাশ কেবল ললিতকলায় নয়। এই সৌন্দর্যস্থধার মধ্যে বীর্ষের আগুন রয়েছে। মানুষ যেদিন এই সৌন্দর্যস্বধা পান করবে সেদিন দুঃখের মাথার উপর সে দাড়াবে, আগুনে ঝাপ দিয়ে পড়বে। মানুষ বিষয়-বিষরসের মত্ততায় বিহবল হয়ে সেই আনন্দরসকে পান করল না। সেই আনন্দের মধ্যে বীর্যের অগ্নি রয়েছে, সেই অগ্নিতেই সমস্ত গ্রহচন্দ্রলোক দীপ্যমান হয়ে উঠেছে— সেই বীর্ষের অগ্নি মামুষের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলল না। অথচ মানুষের অন্তরাত্মা জানে যে, জগতের স্বধাপাত্র পরিপূর্ণ আছে বলেই মৃত্যু এখানে কেবলই মরছে এবং জীবনের ধারাকে প্রবাহিত করছে, প্রাণের কোথাও বিরাম নেই। আন্তরাত্মা জানে যে সেই সুধার ধারা জীবন থেকে জীবনাস্তরে, লোক থেকে লোকাস্তরে বয়েই চলেছে— কত যোগী, কত প্রেমী, কত মহাপুরুষ সেই স্থধার ধারায় সমস্ত জীবনকে ডুবিয়ে অমৃতত্বের সাক্ষ্য দিয়েছেন । তারা মানুষকে ডাক দিয়ে বলেছেন, “তোমরা অমৃতের পুত্র, মৃত্যুর পুত্র নও।” কিন্তু, সে কথায় মানুষের বিশ্বাস হয় না । সে যে বিষয়ের দাসত্ব করছে সেইটেই তার কাছে বাস্তব, আর এ-সব কথা তার কাছে শূন্ত ভাবুকতামাত্র। সে তাই এ-সব কথাকে বিদ্রুপ করে, আঘাত করে, e و این