পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখদিগের স্বাধীন রাজ্য 33& করিবে,-বাদসাহ সা জামানকে তষিয়ে অনুরোধ করাই তfহাদের প্রধান উদেপ্ত ছিল । ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে ত্রিশ সহস্র সৈন্য লইয়া সা লাহোরে উপনীত হইলেন । শিখদিগকে অমুরঞ্জিত করিয়া, স্বীয় কাল্পনিক আধিপত্য-ভার সকলের উপযোগীরূপে প্রকট করা,—র্তাহার প্রথম উদ্বেগু হইল। কতকগুলি রাজা তাহার সহিত মিলিত হইলেন। কিন্তু শিখগণ বিনা যুদ্ধে তাহার বখতা-স্বীকারে ইচ্ছুক হইলেও, স্বীয় ভ্রাতা মামুদের সন্দেহমূলক কার্য-প্রণালীতে তিনি স্বদেশে পুনরাহুত হইলেন ; তজ্জন্য এতদ্দেশে তিনি কোনরূপ বিধি-বন্দোবস্ত করিতে সমর্থ হইলেন না। পরাজিত মারহাট্টাগণ এবং ইংরেজ অপেক্ষ শিখগণ অত্যন্ন ভয় বিহ্বল হইয়াছিল। কারণ তৎকালে ইংরেজগণ তষিয়ে কোন সঠিক সংবাদ প্রাপ্ত হন নাই। অযোধ্যার উজিরের সহিত সকলেই সহানুভূতি প্রকাশ করিলেন। শেষোক্ত সকলেই তাহার রাজ্যে বিপৎপাত-হেতু দুঃখিত হইলেন। তাহারা বিশেষ বিজ্ঞতার সহিত দোয়াবের অন্তর্গত অনুপসহরে একটি সেনানিবেশ স্থাপন করিলেন। সকলে ভয়-বিহ্বল হওয়ায়, পারস্যের সাহকে আফগান রাজ্য আক্রমণ করিবার জন্য উৎসাহিত করিতে তেহেরাণে এক দূত প্রেরিত হইল । ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দে সা জামান পুনরায় ভারতবর্ষ আক্রমণ করিলেন। র্তাহার পঞ্চ সহস্র সৈন্য বহুদূর অগ্রসর হইল ; কিন্তু বিতস্তা নদীতীরে বিপক্ষ সৈন্য কর্তৃক আক্রান্ত হইয়া পলায়ন করিল। সা অবাধে লাহোরে প্রবেশ করিয়া কখনও বা শিখদিগকে অমুরঞ্জন করিতে লাগিলেন, কখনও বা তাহাদিগের প্রতি ভয় প্রদর্শন করিতে লাগিলেন । এইরূপে ভয়-প্রদর্শন ও অনুরঞ্জনের দ্বিবিধ উপায় অবলম্বন করিয়া, তিনি আপন উদ্বেগু সাধনে চেষ্টত হইলেন । এই সময়ে নিজাম-উদ্দীন নামক একজন স্বাক্ষ পাঠান কাণ্ডরে বিশেষ খ্যাতি-প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিল। সেই পাঠান সা জামানের পক্ষ অবলম্বন করিল ; কিন্তু সা জামান তাহার মিত্রতায় বিশ্বাস করিতে পারিলেন না। যাহা হউক, সা জামান তাহকেই শিখদিগকে এবং বীর যুবক রণজিৎ সিংহকে দমন করিতে নিযুক্ত করিলেন। তাহারা সা জামানের আত্মমর্যাদায় বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারিল না। এদিকে নিজামুীনও তাহার প্রভূত্বের স্থায়িত্বে সন্দিহান হইয়া উঠিলেন। তাহার ভয় হইল —সা জামানের প্রভাগমনের পর প্রতিবেশী শিখগণ র্তাহার উপর অত্যচার-উৎপীড়নের বীভৎস অভিনয় করিবে , সুতরাং নিজামুদ্দীন অতিশয় বিচক্ষণতার সহিত শিখদিগের প্রতি অত্যাচারের পরাকাষ্ঠী প্রদর্শন করিতে বিরত হইলেন। কয়েকটি অবিচ্ছিন্ন খণ্ডযুদ্ধ হইল ; কিন্তু তাঁহাতে কোন স্বফল ফলিল না। এই সময়ে মামুদের উদ্বেগু ও চেষ্টা সফল হইল ; তিনি পারস্যের সার সাহায্য প্রাপ্ত হইলেন। স্বত্তরাং হতভাগ্য আফগান সম্রাট ১৭১১ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে লাহোর পরিত্যাগ করিয়া পশ্চিমাভিমুখে প্রত্যাগমন করিলেন। সা জামানের দ্বিতীয়বার ভারত আক্রমণকালে, রণজিৎ সিংহের সৎ-স্বভাব এবং আধিপত্য-প্রতিপত্তির ক্ষমতা আফগান সম্রাট জুরাণী স এবং শিখদিগের মানসপটে সমভাবে অঙ্কিত হুইয়াছিল ; সকলেই রণজিৎ