পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশ ও সমূপ্রেজ্ঞ ৰুণ্ড, নুতন নহে। একাধিকবার সে-কথা বলিয়াছি । বৈজ্ঞানিকের এই তরঙ্গের পরিমাপ করিতে পারেন। তাহারা দেখিয়াছেন যে, লাল আলোর তরঙ্গের দৈর্ঘ্য, নীল আলোর তরঙ্গের দৈর্ঘ্য হইতে প্রায় দুই গুণ বড়। লের বর্ণকিরণের (spectrum) মাঝের রঙ গুলির তরঙ্গের দৈর্ঘ্যও নিজ নিজ স্থান অনুযায়ী বড় হইতে ছোট হইয়া গিয়াছে। তোমরা জান যে, শাদ আলো এই সমস্ত তরঙ্গগুলির সংমিশ্রণে তৈয়ারী হয় । এইরূপ সৰ্ব্ব রঙ যুক্ত যে শাদ আলো, তাঙ্গ আমাদের বায়ু মণ্ডলের ভিতর প্রবেশ করিলে, তাহার রঙগুলির পরস্পরের মধ্যে কে বায়ুকণাগুলিকে অক্লেশে অতিক্রম করিতে পারে, এই লইয়া প্রতিযোগিতা লাগিয়া যায়। মনে কর, *োমরা সাতজন বালক ভিড়ের মধ্য দিয়া যাইহেছ । তোমাদের মধ্যে যে রুশকায়, তাহারই সেই ভি ড্র কাটাইয়া উঠিতে কম ক্লেশ পাইতে হইবে। কিন্তু যে আয়তনে বেশ বড়, তাহার ভিড়ের ধাক্কায় ছিটকাইয় পড়িবার সস্থাপন . অধিক । কিন্তু তোমরা যদি মাগুধ ন হই য়া তরঙ্গ হ হ হে, তাহ) ** লে ব্যাপার দাড়াত ত তষ্ঠার সিক বিপরীত । তোমাদের মধ্যে সেটি পকার পে স্বচ্ছদে ভিড় ভেদ করিয়া 5णिप्रn या श्ड ५५५ (ध কশকায়, সেই ছিটকা চয়। পড়িত ৷ তোমরা সাত রঙের সাতটি বালক শাদা আলে। ইহয়া চলিতে সুর করিলে । পপে ভিড় পড়িণ । তাছাকে যথন কাটাইয়া উঠিলে, দেখিতে পাইলে, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে কৃশকায়টি ভিড়ের মধ্যেষ্ঠ ছটুকাইয়া গিয়৷ অন্যত্র সরিয়া গিয়াছে । এই কৃশকায় বাণকটিকে নীল বলিতে পার । সে ছিট্‌কাইয়া গিয়া যেখানে যেখানে যাইবে, সেখানে সেখানে নীল দেখাইবে । হুর্য্যের শাদ অালো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করিতে গেলেই তাহাকেও বায়ুকণার ভিড় ঠেলিয়। পৃথিবীতে আসিতে হয়। তরঙ্গের নিয়ম অনুযায়ী যে রঙের তরঙ্গ যত বড়, সে রঙ তত অল্পায়াসে এই বায়ু কণা ভেদ করিয়া চলিয়া যাইবে । যে আলো আমাদের চোখকে উত্তেজিত করে, তাহার মধ্যে লালের তরঙ্গ বৃহত্তম। তাই লাল রঙ যত বেশী করিয়া, পথে কম --- ছিটুকাইয়। গিয়া পৃথিবীতে জ্ঞাসিয়া পোছিবে, অন্ত রঙ সেন্ধপ পারিবে না। নীল রঙ্গের ওরঙ্গ ক্ষুদ্রতম বলিয়া ইহাকে খুব বেশী করিয়। পথে এদিক ওদিক ছড়াইয়। যাইতে হইবে । অতএব যে আলো স্বর্য্য হইতে পুথিবীতে সোজা চলিয়া আসে, তাছাতে লাল অংশের প্রাধান্ত থাকিবে এবং যে আলো বায়ুকণার দ্বারা আকাশে ছড়াইয় পড়িবে, তাহাতে নীলের প্রাধান্য হইবে বেশী। আকাশ হইতে আমরা যে আলো পাই, তাহ প্রত্যক্ষভাবে স্বর্য্যের আলো নছে বায়ুকণাগুলি যে আলো-কে ছড়াইয়া দিতেছে সেই আলো । ইহা ছড়াইয় পড়া আলো বলিয়া ইহাতে নীলের প্রাধান্য হইবে বেশী- অতএব আকাশ তইতে সে অালে আমাদের চোথে আসে, তাহা হুইবে নীলাভ । প্রত্যক্ষভাবে সূর্য্যের যে আলো অামাদের নিকট টিগুলি সাহেব এই যন্ত্রটি দিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা যে আলোক ছড়াহয়। দিয়া থাকে, তাহ প্রমাণ করিয়াছিলেন আসে তাং লক্ষ্য করিয়া দেখিলে বুঝিবে যে, তাছ। নীল নহে—ঈষৎ পীতাভ। স্থয্যের আলো-কে যখন বায়ুমণ্ডলকে অধিকার করিয়া অতিক্রম করিতে হয়, তখন তাহা অার পীতও থাকে না—যথেষ্ট লাল হইয় ওঠে। প্রভাত ও সন্ধ্যায় তাহ রৌদ্রের রঙ, লাল । তখন যদি স্বর্য্যের দিকে লক্ষ্য কর, দেখিবে, স্বৰ্য্যও তখন ঘোর রক্ত বর্ণের। অবশু সকাল ও সন্ধ্যায় ঐক্কপ ঘোর রক্তবর্ণের আকাশ পাইতে হইলে বায়ু,কণাগুলির অতিরিক্ত আরও কিছু আবশ্যক হয় । এবিষয়ে পরে বলা হইবে । ধে বৈজ্ঞানিক প্রথমে এই তত্ত্বটি প্রচার করিয়াছিলেন, যে আকাশের রঙ বায়ুমণ্ডলের কণাগুলির নীল রঙকে বেশী করিয়া ছড়া ইয়া দিবার ক্ষমতার জন্য স্থঃ হইতে পারিয়াছে, তাছার নাম জন টিওলি も●"