পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|G|-- --- মাঝে মহাব্যোমের মুদূর প্রদেশ থেকে এক একটা ধূমকেতু এসে আমাদিগকে মনে করিয়ে দিয়ে যায় যে, আমাদের নজরের বাহিরে কত সহস্ৰ সহস্ৰ অজানা জগৎ আছে । নক্ষত্রগুলোর দূরত্বের হিসেব আর এক রকমে হয়। আলোক চলতে সময় লাগে, এ কথা তোমরা নিশ্চয় শুনেছ। তবে, কি জান, আলোর বেগ এত বেশী যে চোখে ধরা যায় না। এক সেকেণ্ডের মধ্যে সে সাত আট বার পুথিবী চক্কর দিয়ে আসতে পাবে। কিন্তু এই আলোই আবার অনন্ত মহাকাশে হার মেনে যায়। স্বৰ্ষা থেকে পৃথিবী পৌছতে তার আট মিনিট সময় লাগে। কানোপস্ নক্ষত্র থেকে আসতে তিন চার বছর কেটে যায়। ংে মরা শুধু চোথে যে সমস্ত নক্ষত্র কি নক্ষত্রপুঞ্জ দেখতে পাও, যেমন উত্তরাকাশের ধ্ৰুবতারা, সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরষ, অগ্নিপর্ণ, সুন্ধক তাদের তাণে তোমাদের চেপে পৌছতে আরও টের বেশী সময় লাগে। জোতিগীরা তাদের দুরত্ব বর্ণনা করে- তিন বছর দূপে, দশ বছর দূরে, ষাট বছর দুরে ইত্যাদি বলে । তার মানে, সেখান থেকে আলো আসে পুথিবীতে তিন বছরে, কি দশ বছরে, কি ষাট বছরে । ব্যাপারটা ঠিক ধারণা করতে পারছ কি ? হঠাৎ যদি কানোপস নক্ষত্র পলংস হয়ে যায়, ত পুথিবীতে তোমরা তিন বছর তার খবর পাবে না সেই তিন বছর কাণেপস রোজ রাত্রে নিয়মিত আকাশে দেখা দেবে। তার পর হঠাৎ একদিন তাকে আর দেখতে পালে না। তখন বুঝতে হবে যে, তিন বছর আগে কানোপল চূণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে। এ সব কপা ভাবতেও মাথা ঘুরে যায়। আচ্ছা, এই যে কানোপসের কথা বলছি, এ কত বড় ৩ জান ? আমাদের স্বৰ্য্য এত বড় যে, সে তার গ্ৰহ-উপগ্রহগুলোকে সব এক ওপে গিলে ফেলতে পারে । তেমনি কানোপস, আবার অনেকগুলো স্বামণ্ডলকে অনায়াসে গেয়ে ফেলতে পারে। এই রকম কত কত বিশাল কানোপস মহাবোমে ভাগছে। তাহলে বুঝলে ত, যে বস্থঙ্কর। আমাদের যথাসৰ্ব্বস্ব হলেও এই প্রকাও প্রকাণ্ড বিমানচারীদের দলের মধ্যে একটি অতি সামান্ত জন । তবে একটা কথা আছে। ৰম্বন্ধরার যেমন এক দিকে এই সমস্ত বড় শেক আত্মীয় কুটুম্ব রয়েছে, তেমনি অন্য দিকে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উল্কাপিও, যার লাখ খানেক প্রতি বছর সে বুকে টেনে নিচ্ছে। তারাও জাতে বিমানচারী ! ভ,তত্ত্ব প্ৰথিবীর কথা - আগেকার কালে লোকে ভাবতে যে, পৃথিবী লড়িয়ে রয়েছে আর তার চারিধারে স্বৰ্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, সব ঘুরছে। অশিক্ষিত জাতেরা আজও তাই মনে করে। কিন্তু তোমরা নিশ্চয় জ্ঞান যে, পৃথিবী অনবরত লাটুর মত পাক খেতে খেতে স্বৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করছে। এই লাটুর মতন পাক খায় বলে দিবারাত্রি হয়, আর স্বর্যাকে চক্কর দেয় বলে শীত-গ্রীষ্মাদি ছয় ঋতু হয়। এইটুকু তোমরা জান। কিন্তু শুধু এই নয় । পৃথিবীর এ ছাড়া আরও পাচ রকম গতি আছে । তার মধো চার কম তোমরা এখনই বুঝতে পারবে না। কিন্তু একটা গতির কথা এই খানেই ললি। সারা স্বৰ্য্যমণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী প্রতি সেকেণ্ডে তেরো মাইল লেগে অবিরাম ধেয়ে চলেছে। কোথায় যাচ্ছে, কে জানে ! শোনা যায় হরিকুলেশ (Herculos) বলে এক নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে ছুটছে। সেখানে পৌছলে হয়ত সব জলে পুড়ে থাক হয়ে যাবে। কে বলতে পারে । ভূ-তত্ত্বের কথা বলতে বল৩ে কোথায়ু এপে পড়েছি । তবে কি জান, এই সমস্ত নানা রকমের বিদ্যা এমন জট পাকিয়ে লয়েছে যে, তাদিকে আলাদা করা সম্ভব নয় । বসুমতীর জন্মকথা তোমাদিগকে বললাম। তোমরা জানলে কোথায় তার জন্মস্থান, কে তার জনক, কে তার ভাই-ভগ্নী। এইবার দেখতে হবে যে, সৰ্যোর দেহ হতে নির্গত জলস্ত জড়পিণ্ডের রাশি কি করে আমাদের এই ফল ফুলে শোভিত সুন্দর পৃথিবী হয়ে দাড়ল । এই পরিণতি ত অার এক আধ শতাব্দীতে হয় নেই ! আগেই বলেছি যে, আমাদের জননী বসুন্ধপার বয়স কোটি কোটি বৎসর। কিন্তু আমরা মানুষের দল এর বুকে এসে আশ্রয় পেলাম কলে, কি করে ? এও ত তোমরা জানতে চাইবে । এইপানে এল জীবতত্ত্ব। তাকেও বাদ দিলে চলবে না। যখন তোমাদিগকে বলৰ যে, অমুক যুগে পুথিবীর চেহার এই রকম ছিল, সেই সঙ্গে এটাও বলব খে, তখন তার উপর এই এই প্রাণী বাপ করত। ভূগোল পড়ে তোমরা শিখেছ যে, পৃথিবীর উপরটাকে মোটামুটি দুই ভ গ করা যায়। মহাদেশ ও মহাসাগর – ডাঙ্গা ও জল। ডাঙ্গার চেয়ে জল অনেক *::::: ४िम গুণ ৷ এ ৪ তোমরা শিখেছি যে, ডাঙ্গাটা সব সমতল নয়। এতে হিমালয়ের মতন পৰ্ব্বতশ্রেণী আছে, দাক্ষিণাত্যপ্রদেশের মতন মালভূমি

-IDI 卤→→→→→ --- ماهنامه-RR 8 لا