পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ASAA KSTDD DBBJYJB BBBBBBBB S "মৃতকোথাপন” মন্ত্র জানিতেন (মৃতক + উত্থাপন = অর্থাৎ যে মন্ত্রের বলে মুতদেহে জীবন সঞ্চার হয় ) ও শিক্ষা দিতেন। 'সঞ্জীব জাতকের’ গল্পটি পড়িলে এ বিষযে জানিতে পরিবে । কোন অধাপক জানিতেন, সপগণকে মুগ্ধ করিবার মন্ত্র, কেহ বা জানিতেন, গুপ্তধন উদ্ধর করি বার মন্ত্র, আবার কেহ বা জানিতেন, হস্তিসূত্র । এইরূপ নানা বিষয়ের বিদ্যার কথা ভক্ষশিলার সম্বন্ধে জানা যায়। তবে বিশেষ করিয়া fosts al-fowl (Medical Science ) শিখাইবার জন্মই ভক্ষশিলা প্রসিদ্ধ ছিল । রামায়ণ ও মহাভারতে তক্ষশিলার নাম দেখা যায়। মহাভারতে আছে, রাজা জন্মেজয়, তক্ষশিলায় সপ-যজ্ঞ করিয়াছিলেন। গ্রীক ও রোমক লেখকেরা তাহাদের লেখা বহিতে ই হার নাম লিখিয়া গিয়াছেন, টেক্‌শিলা (Taxila)। পালি বা সঙ্গরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এবং হাসানআবদাল নামক স্থানের দক্ষিণ-পূদদিকে সরাইকোল নামক ষ্টেশনের উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে তক্ষশিলার , স্তৃপাকার ধ্বংসচিহ্ন রeিয়াছে। দুই দিনের কমে এই সব ধবংসাবশেষ দেখিয়া শেষ করা যায় না। এখানকার ‘ধৰ্ম্মরাজিক স্তৃপ ‘কুণাল স্ত প’ ও বৌদ্ধবিহার দেখিলে সেকালে তক্ষশিলা যে কত বড় সহর ছিল, তাহ। বুলিতে পারা যায়। ললিল । নালন্দা পিতার ছিল বৌদ্ধদের একটি প্রসিদ্ধ বিদ্যাপীঠ। যীশুখ ষ্টের জন্মের পূর্ব ত ইতেই নালন্দ। মহাবিহার মগধের রাজধানী রাজগৃহের অতি নিকটে অবস্থিত ছিল। এই দুরত্ব সম্বন্ধে নানা জনের নানা মত। কাহার ও কাহারও মতে রাজগুহ হইতে প্রাকুতে ই হার নাম তক্‌ কশিলা ও সংস্কতে তক্ষশিলা, এইরূপ। চীনপ্রমণকারী ফা-হিয়ান ভঁাতার ভ্রমণকাহিনীতে অক্ষশিলার নাম করিয়াছেন। ইউ-য়ানচাঙ দুইবার তক্ষশিলাঘ গিয়াছিলেন । তাহার ভ্রমণকাহিনীতে অাছে তক্ষশিলায় অনেক বৌদ্ধ বিহার ছিল এবং সেখানে মহাযান সম্প্রদায়ের অল্প সংখ্যক বৌদ্ধ থাকিতেন । প্রাচীন তক্ষশিলা আর নাই। কিন্তু সরকারী পুরাতত্ত্ব বি ভাগ মাটি খুড়িয়া তক্ষশিলার অনেক কীৰ্ত্তি-চিহ্ন বাহির করিয়াছেন । প্রায় বার বর্গমাইল স্থান জুড়িয়া ইহার ংসাবশেষ পড়িয়া আছে । রাউলপিণ্ডি - - - > 85 তক্ষীশলার ধ্বংসাবশেষ নালন্দার দূরত্ব মাত্র অদ্ধযোজন ছিল। প্রসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক ইউ-য়ান-চাঙ নিজে এই বিহারে অনেক দিন থাকিয়া শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । সে সময়ে ভারতে --