পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- মতে, শ্রোত্র এহ্ম ; কাহারও মতে, চক্ষু ; ক1হারও মতে, মন ; আীর কাগর ও মতে হৃদয় । এই সমস্ত শুনিয়া যাজ্ঞবল্কা কছিলেন, ইহারা সকলেই যথার্থ কথাই বলিয়াছেন ; কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করিতে পারেন নাই । এ সম্বন্ধে আরও জানিবার আছে ।” এই কথা শুনিয়া সমাট আসন হইতে উঠিয়া যাজ্ঞবন্ধাকে প্রণাম করিলেন এবং কহিলেন, “আমাকে আপনি শিষ্যের মত উপদেশ দান করুন।” বা জ্ঞবল্কা কহিলেন, “আপনি অনেক শিথিয়াছেন, কিন্তু আরও শিখিবার আছে। মৃত্যুর পর আপনি কোথায়ু যাহবেন, জানেন ?" রাজা কহিলেন, না ; আপনি আমায় উপদেশ দিন " যজ্ঞবল্য উপদেশ দিলেন, কিন্তু তাই শিশুবোপ্য নহে । সুতরাং আমরা উহার আলোচনা এথানে করিব না । আর এক দিন যাজ্ঞবল্কা জনকের সভায় যাওয়ার সময় মনে মনে স্থির করিয়া গিয়াছিলেন, আজ আর কোন তর্কে লিপ্ত ইচব না, শুধু দেখা করিয়াই চলিয়া আসিব । কিন্তু তাইকে প৷হয়। জনক সহজে ছাড়িয়া দিলেন না ; নানারূপ দার্শনিক গালোচন। আরম্ভ করিয়া দিলেন । অনেক আগে একবার রাজা জনক ও যাজ্ঞবল্কোর মধ্যে 'অমিহোএ লইয়া আলোচনা হয় ; তখন ঋষি যাজ্ঞবল্কা সমাটের নিকট ঐ সম্বন্ধে অনেক নূতন তথা শিক্ষা করেন এবং তার জন্ত সমাটকে বর দিতে চাহেল । সমাট জনক তখন এই ৰত্ন প্রার্থনা করেন যে, ধখনই ধাজ্ঞ বন্ধের সঙ্গে তার দেখা হুইবে, তখনই তিনি তাঙ্কার নিকট উপদেশ লক্টতে পরিবেন । এই কারণে একবার যখন যাজ্ঞবল্ক জনকের সভায় গেলেন, তখন তিনি নিজে যদিও কিছুই বলিতে চাছেন নাই তথাপি রাজা জনকই আগে প্রশ্ন করিয়া বসিলেন ; অতঃপর পুৰ্ব্বে প্রদত্ত বর অনুসারে ঋষির আর উত্তর না দিয়া উপায় ছিল না। বাধা হইয়া তিনি আলোচনায় লিপ্ত হইয়া পড়িলেন। এবারকার আলোচনায় বিষয় হইল, পুরুষ অর্থাৎ rনুষ যে চলাফেরা ইত্যাদি করে, তাহ কোন জ্যোতির সাহায্যে। ধাজ্ঞবল্কা সহজেই উত্তর দিলেন, স্তর্যোর সাহাযো। স্বর্গোর আলোকের সাহায্যেই মানুষ নানাস্থানে গমনাগমন করে, নানাপ্রকার কাজকৰ্ম্ম করে, সুতরাং স্বর্যালোকই তাব গতিবিধির নিয়ামক । জনক কছিলেন, “তা ঠিক, কিন্তু যখন স্বর্যা অস্ত যায়, তখন ?" ধাজ্ঞবল্কা কহিলেন, “স্বৰ্য্য অস্ত গেলে চন্দ্র মানুষকে চলাফেরার পথ দেখায়।” জনক কহিলেন, "চন্দ্রও অস্ত যায়, কিংবা উদিত হয় না, তখন ? ঋষি কছিলেন: “চন্দ্র কিংবা স্বৰ্য্য কাহারও আলোক যখন মাম্বধ পায় না, তখন সে আগুনের সাeাযো কাজ করে।” রাজা কছিলেন, ঠিক ; কিন্তু এমনও ত হইতে পারে যে, চন্দ্র, সূর্যা, অগ্নি-কোন আলোকেরই সাহায্য পাওয়া যায় না ; তখন মানুষের উপায় কি ?” ঘাঙ্কবন্ধ উত্তর করিলেন, "সে অবস্থায় মানুষ ৰাকোর সাহায্যে পথ-ঘাট চিনিয়া লয় ; কে কোথায় আছে, কোন দিকে পথ ইত্যাদি বিষয় অন্ধকারে আমরা ঢাকা ৬াকি করিরাই জানিয়া লই । সুতরাং সব আলোক যখন অগুহিত হয়, বাকা তখন মানুষের পথ প্রদর্শক ।” সমাট আবার কহিলেন, "সমস্ত আলোক যখন তিরোহিত হয়, বাক্য লখন স্তব্ধ হয় যায়, তখন মানুষ চলে কি করিয়া ? কোন জোতির সাহায্যে সে তখন কাজ করে ?” ধাজ্ঞবল্ক্যের উত্তর হল, "এ অবস্থায় আত্মাই মামুষের পথ-প্রদর্শক । আত্মা কি ? যে বিজ্ঞানময় অন্তঞ্জোতি পুরুষ ইহলোক ও পরলোক বিচরণ করে, তাছাই আত্ম। এই আত্মার নিজের জ্যোতি আছে। যেখানে রপ নাই কিংবা পখ নাই, শেখানেও আত্মাপ গতি আছে । এই লোক হইতে পরলোকে এবং এক দেহ ইহঁতে আর এক দেহে গমন করিবার শক্তি আত্মার আছে। এইরূপ গমনাগমনে আত্মা আর কোন জ্যোতির অপেক্ষা করে না ।” অত:পর আত্মার গতি, জাগ্রং ও স্বপ্না বস্থা প্রভৃতি সম্বন্ধে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য অনেক স্বগ্ন উপদেশ দিলেন। সম্রাট ইহাতে অত্যন্ত তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট হইয়া বার বার তাহাকে হাজার হাজার টাকা পুরস্কার দিতে প্রতিশ্রুতি করিলেন । সে দিন ঋষি ও সম্রাটের আলাপন এই ভাবেই সমাপ্ত হইল। সমাট জনকের উপদেষ্ট মহাজ্ঞানী ঋষি যাজ্ঞবল্কোর দুই স্ত্রী ছিলেন—কাত্যায়নী ও মৈত্রেয়ী। ইহাদের মধো কাত্যায়নী সাধারণ স্ত্রীলোকের মত ছিলেন কিন্তু মৈত্রেয়ী ব্রহ্মৰিদ্ধায় অমুরাগিণী ছিলেন। প্রাচীনকালে বৃদ্ধ বয়সে ব্রাহ্মণের এবং অনেক সময়ে X8૭૨ - •िथ्s छान्छाप्छौँ। همه مهممام ایسا مجمام محم-- مـمـ

: : ! :