পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可 যেতে ভাবলে যে, সে যেমন করেই হোক প্রতিশোধ নেবে। তাকে নিয়ে যে তামাসা করা হয়েছে তার শোধ তুলবে। সে হায় হায় করতে করতে বললে,— আমার অত অত গুলো টাকা নিয়ে গেল। তার উপর আমার কি কঠিন শাস্তিই না হলো ! এই সব নানান রকম কথা ভেবে, ও টাকার শোক সামলাতে না পেরে সে বিচারপ্রার্থী হয়ে শহরের বিচারকের কাছে গেলে। সে বিচারককে গিয়ে বললে,—এক শঠ আমাকে মেরে ধরে আমার বহু টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। এই দেখুন আমার গায়ে সব অস্ত্রের দাগ আর এখনও অামার রক্ত পড়ছে। হুজুর আমি বিচার চাই। তার কথা শুনে বিচারক দোষীকে ধরে আনবার জন্যে পাহারাওয়ালাদের হুকুম দিলেন পাহারাওয়ালার খানিক পরে ধম্মদাসকে ধরে নিয়ে এলো। বিচারপতির সামনে সেই সুদখোর তখন ধৰ্ম্মদাসকে দেখিয়ে বললে যে, সেই লোকটি মেরে ধরে তার সব টাকা কেড়ে নিয়েছে। বিচারপতি তখন ধৰ্ম্মদাসকে জিজ্ঞাসা করলেন—তোমার কি বলবার আছে ? ধন্মদাস রেগে বলে উঠলো-কি, আমি চুরি করেছি, না ডাকাতি করেছি? ঐ লোকটাই তো আমার বেড়ালা বাজানো শুনে আমাকে একশো টাকা খুলী হ’য়ে দিলে। কিন্তু বিচারপতি ধৰ্ম্মদাসের সেই কথায় বিশ্বাস করলেন না। তিনি বললেন যে, বেহালা শোনার জন্য কখনো কেউ সখ করে আত টাকা দিতে পারে না। বিশেষ করে” সে হচ্ছে মুদখোর, টাকা জমানোই তার ধৰ্ম্ম, অমনি করে’ লে যে টাকা খরচ করবে, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। তার উপর সুদখোরের গা-হাত-পা কেটে রক্ত পড়ার মানেই ত তাকে মারা হয়েছে। বিচারক ধৰ্ম্মদাসের ফাসীর হকুম দিলেন। বিচারালয় থেকে বেরোবার আগে বেচারী ধম্মদাস বললে,—হুজুর, আমার একটি প্রার্থনা আছে। তিনি বললেন—তোমার প্রাণদণ্ডের আজ্ঞ ফিরিয়ে নেওয়া ছাড়া তোমার সব প্রার্থনা পূর্ণ করতে পারি। ধৰ্ম্মদাস X8ԳՀ - --- (كجة جfحه ويهمfr " مسماهام তখন উত্তর দিলে –ন। হুজুর, আমি আমার প্রাণ ফিরে চাই না। আমি কেবল একবার বেহালাটি বাজাতে চাই। এই কথা শুনেই সেই সুদখোর ভয়ানক ভয় পেয়ে বলে উঠলো,-না না না হুজুর, আমন কাজও করবেন না, ওর বেহালা বাজানো শুনবেন না। কিন্তু বামনের তৃতীয় বরের ফলে ধৰ্ম্মদাস ইচ্ছা করবামাত্রই সেই বিচারক ধৰ্ম্মদাসের প্রার্থনায় রাজী হয়ে বললেন,—ন: বাজাক না, ওহে ধৰ্ম্মদাস, তুমি ৰাজাও। ধম্মদাস যেই বাজনা আরম্ভ করলে অমনি বিচারা লয়ের বিচারপতি, কেরাণীরা ও পুলিশের পর্য্যন্ত •回 চেয়ার ছেড়ে ঘরের মধ্যে এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে । ধেই ধেই করে’ নাচতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে সবাই ক্লাস্ত হয়ে পড়লো, হাপি য়ু সবার প্রাণ যায়ু আর কি! বিচারপতি বেহালা গামাবার জন্ত বারবার তাকে অনুরোধ করতে লাগলেন, কিন্তু কে কার কথা শোনে, সে বাজিয়েই চললো। ধন্মদাস বললে যে, সে কিছুতেই বাজনা থামাবে না, যতক্ষণ না তার ফাণীর হুকুম ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে।:বিচারপতি প্রাণের দায়ে অগত্যা তার প্রাণবধের আজ্ঞা ফিরিয়ে; নিয়ে তাকে মাপ করলেন । কিন্তু সে তখনও বাজনা থামালে না, সে বাজাতে বাজাতে তখনই আবার সেই দুষ্ট সুদখোরকে জিজ্ঞাসা করলে,—ভায় বল তে, তুমি এই সব টাকা কোথায় কেমন করে পেয়েছো ? ন বললে আমি এ বাজনা থামাচ্ছি না। সেই মুদখোর বিচারপতি প্রভৃতির সামনেই স্বীকার . করলে যে, বহুদিন আগে সে সেই টাকা ঠকিয়ে চুরি করেছে। সে আরও বললে যে, সে টাকা ধৰ্ম্মদাসেরই প্রাপা,কারণ ধৰ্ম্মদাস তার কাজ করে দিয়েছিলো। এইবার ধৰ্ম্মদালের বেহালা থামলে বিচারপতি তখনই তার আসনে বসে, চুরি ও ঠকানোর অপরাধের জন্ত সেই সুদখোরকে কারাবাসের হুকুম দিলেন। ধৰ্ম্মদাস মনের মুখে টাকার থলি কাধে ফেলে গুণ গুণ করে’ গান করতে করতে বাড়ী চলে গেল।