পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[d]- --- করিতে যদি কোনও গোলমোগ না হইয়া থাকে, তবে ১• • বীর প্রদক্ষিণ করিতে কত সময় লাগিবে, তাহা লাহির করিতে হলে একবার প্রদক্ষিণ করিবার সময়কে ১০ দিম। পূরণ কfরলেই ফল পাওয়৷ মাহবে। রোয়েমার প্রথম স্থন প্যালেক্ষণ আরম্ভ করিয়াছিলেন, তখন পৃষ্ঠপতি ও পুথিবী উভয়ের পরস্পরেব কাছাকাছি আসিয়া পড়িয়াছিল। ছয় মাস পরে ঘুরিতে সূরিতে পূপিণী নিজের চলিবার পথের অপর প্রাঙ্গে রহস্পতি হইতে অনেক দূরে সরিয়া গেল । এই সময়ে হয়োল রহস্পতিকে এক শত পাক দেওয়া উচিত । কিন্তু যে সময়ে এক এক শত বাব পাক দেওয়া হিসাব করিয়া পাওয়া গিয়াছিল, পযাবেক্ষণ করিয়া দেখা গেল যে, ষ্টয়ে নেমন ঘড়ি ধaিয়া চলিতেছে •া । সে প্রায় ১৫ মিনিট বিলম্ব করিয়া দেখা দিতেছে । এই ১৫ মিনিটের বিলম্ব সে অবং হঠাৎ করিয়া বসে নাই। প্রতিদিন একটু একটু করিয়। সে বিলম্ব করিতেছিল। রোয়েমার দেখিলেন যে, এই সময়ের মধ্যে পুথিবী অল্পে অল্পে পুহম্পতি হইতে দূরে সরিয়৷ আসিতেছে । তিনি ভাবিলেন যে, এই দূরত্বের বৃদ্ধির সঙ্গে সময় বেশী হওয়ার কোনও সম্পক নাই ত । ইছার উত্তর ত তাছার হাতেই ছিল । তিনি আরও ছয় মাস, যে ছয় মাসে পৃথিবী উত্তরোত্তর বৃহস্পতির নিকটস্থ হইতেছে, সে ছয় মাস আবাল ঐ চাদটিব গতিবিধ দেখিতে লাগিলেন। তিনি দেখিলেন যে, এ ছয় মাসে অল্প অল্প করিয়া যে ১৫ মিনিট সময় বেশ লাগিয়াছিল তাহাহ আবার ঠিক হইয়া গেল। দেথ। গেল, পৃথিবী আবার যখন সুছম্পতির নিকটস্থ হঠল, তখন রহস্পতি চাদের গ্রহণ লাগিবার সময় হিসাব SDDS BBBS BBBB BBB BBB BSBB BS SSS S তখন অকস্মাৎ তাহার মনে এই কথা উদয় হইল যে সময়ের বিলম্ব হওয়া ঠাই আলোর পৃথিবীর কক্ষের এক দিক হতে অপর দিক পয্যন্ত বেশী চলিয়। যাকবার জন্য নহে ত । যদি এত কমলা লতা হয়, তবে পৃথিবীর বক্ষের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্তে যাইতে আলোকের ১৫ মিনিট সময় লাগে। তিনি অনেক চিস্থা করিয়া দেখিলেন, কছা ছাড়া আর কোনরূপ ব্যাখা। এই ব্যাপারের সম্ভব শঙ্কে । পৃথিবীর কক্ষের ব্যাস তাহাব জানা ছিল। তিনি তাছা হইতে সামান্য হিসাব লগাইয়ু বলিলেন যে, আলোক প্রতি সেকেণ্ডে ১৯৯৫ • • মাইল পথ দোড়াহয়। ধায় । >8ぬ。 -िअि-पछान्ञ्जप्टी বদ্ধমূল হইয়াছিল। প্রদক্ষিণ করিবার সময়ের পরিমাপ: জড়বস্তু বা ধিঙ্ক্যতের মত আলোও যে চলিবার কালে কিছু সময় লইয়া থাকে, রোয়েমার শুধু ইহাঙ্গ প্রমাণ করিলেন তাহা নহে, কি পরিমাণে আলোক দূরত্ব অতিক্রম করিতে পারে, তাছাও তিনি বিজ্ঞান জগতে প্রথম প্রচার করেন । রোয়েমারের এই অত্যাশ্চর্য্য আবিষ্কারের কথা তখনকার বৈজ্ঞানিকেরা প্রথমে একেবারেই স্বীকার করেন নাই । কিন্তু পঞ্চাশ বৎসর পরে একজন ইংরাজ জ্যোতিৰ্ব্বিদ সম্পূর্ণ অন্যভাবে আবার রোয়েমারের কথাই জগৎ সমক্ষে প্রচার করিলেন। ব্রাডলি অর্থাৎ এই জ্যোতিৰ্ব্বিদটি ইংলণ্ডের কিউ (Kewমানমন্দিরে । নক্ষত্ৰ পৰ্য্যবেক্ষণের কাজে বহুদিন হইতেক বাস্ত ছিলেন। তিনি লক্ষা করিলেন যে, যাহাঁদের আমরা স্থির নক্ষত্ৰ বলিয়া থাকি, তাহার। সত্য পতাচ স্থির নহে। পৃথিবী যেমন প্রতি বৎসরে একবার ঘুরপাক থাকয়া থাকে, আকাশের নক্ষত্রগণও সেইরূপই এক বৎসরে একবার ঘুরপাক খাইয়া লঘু। কেন যে সব নক্ষত্রই এই ভাবে আকাশে প্রতি বৎসর একবার করিয়া বৃত্ত রচনা করিয়া থাকে, তাই তাহার নিকট অতিশয় গুৰোধা ঠেকিল । ঠহার কোন বাখ্যা তাছার মনে একেবারেই জোগাইল না । তিনি মনে-প্রাণে বৈজ্ঞানিক ভাবাপন্ন ছিলেন, তাহ ব্যাপারটা উড়াইয়া দিতে পারিলেন না এবং মন ও দৃষ্টি বংি প্রকৃতির প্রতোক ক্ষুদ্রতম ব্যাপারের প্রতিও উন্মুখ রাখিলেন। বৈজ্ঞানিকের দৃষ্টি ইষ্টল সেই দৃষ্টি-যাহার নিকট ক্ষুদ্রতম বিষয়ও মহত্তমের ছবি ফুটাতয়া থাকে। একদিন তিনি টেমস্ নদীর উপর নৌকা করিয়া বেডক্টতে বাছির হইয়াছিলেন। নৌকায় বেড়াইতে বেড়াইতে তিনি লক্ষ্য কবিলেন যে, যতক্ষণ পর্য্যন্ত ওঁ হার চলিবার দিক একভাবেই রহিতেছে, তাহার নোকার বায়ুবেগের দিক-নির্ণয় যন্ত্রের মুখও এক ভাবেহ থাকিতেছে। যেমন যেমন র্তাহার নৌকার মুখ দিক পরিবর্তন কলিতেছে, বায়ুর দিক-নির্ণয় যন্ত্রটিও সেই ভাবেই মুখ ফিরাইয়া লইতেছে। যে সমস্ত। সমাধান করিতে গিয়া তিনি নক্ষত্রের পর নক্ষত্র দেখিতে দেখিতে কত বিনিদ্র রজনী কাটাইয়াছেন, কতদিন, চিন্তা করিতে করিতে আহার-নিদ্রার কথা ভুলিয়াছেন অথচ কোন ফল হয় নাহ, এই সামান্য ঘটনায় তাহ। এক মুহূর্ভে তাহার নিকট পরিষ্কার হুইয়া গেল। স্নান করিতে নামিয়া নিজের শরীরের ওজন হ্রাস হইয়া যাওয়ার ব্যাপারে এইভাবেই গ্ৰীকৃ দার্শনিক আকি.