পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ কিসে বঁাচে ? স্বাস্থা অমূল্যধন একথা আমরা সকলেই জানি!! লোকে কথায় *পায় পলে - ‘স্বস্থিা যার নাই - TaᏬᏎ যার শরীব ভাল নয়, সে কখনও মুখী হতে পাপে ন। এজন্তত যদি তোমরা তোমাদের জাপনকে সুন্দরভাবে গড়িয়া তুলিতে চাও, শাখা হলে সকলের আগে মন দিবে শরীর যাহাতে ভাল পাকে । শরীর ও মন এ দুষ্টটি যাহার তুলাভাবে সুস্থ আমরা তাহাকেই সুখী বলিতে পারি। তোমার শরীর ভাল না থাকিলে মন কখনও ভাল থাকিবে না। এ দুটিকে সমানভাবে সুস্থ ও সবল রাখিতে হইলে সাধনাব আবশ্যক। কেবল ছুটাছুটি, দাঁড়াদৌড়ি করিতে পারলে, কিংবা চার প॥৮ মন বোঝ। তুলিতে পালিলে বা কুড়ি পাঁচশ পণ্ট। জলে সাতড়াইতে পারিগেই যে তোমাকে স্বস্তু সবল বলিব এবং সুপী বলিব, তাই নখে । মানুষের জীবনের দুইটি ধারা আছে—একটি ধাবা বাহিরের, আর একটি ভিতরের। এদুটির সামঞ্জস্ত রাখিয়া চলিতে পারিলে তবে আমাদের স্বাস্থা রক্ষা হয় এবং আমরা সুখীও হইতে পারি। আমরা কেমণ করিয়া বাটিতেছি, সেদিকে একবার লক্ষ্য কর! বনের ভিতর বাঘ, সিং, ভল্লুক যেমন শিকার ধরে এবং তাছাদের আক্রমণের ভয়ে যেমন অন্তান্ত নিরীহ জানোয়ারদিগকে সৰ্ব্বদা সতর্ক হইয়া চলিতে হয়, আমাদেরও সেইরূপ প্রতিদিন বাচিবার জন্য যে দিনরাত কত যুদ্ধ করিতে হইতেছে, সে সংবাদ কি রাখ ? আমরা মৃত্যুর মধ্যেই বাচিয়া আছি। li. - --- ১১৬৯ পৃষ্ঠার পর ? ابی۔..i یتیم --mم خs;"?ھ - - - リアエ ** • রে মুথ কোথায়' ? বাস্তবিকই {# వి: কথাটা তোমাদের কাছে స్టి আশচলা মনে হইলেও কিন্তু অতি লতা কথা । একদিন স্কুলে গিয়া শুনিলে, তোমাদের একজন সহপাঠী কলেরায় মারা গিয়াছে ! কথাটা শুনিয়া তোমাদের প্রাণে বাথা লাগিল, এ কেমন করিয়া হইল ? কাল যাহার সহিত খেলা করিয়াছি, কত কথা বলিয়াছি, হাসি ঠাট্ট ও দুঃমি কবিয়াছি, আজ কি না সে অর বাচিয়া নাঙ্ক । সে ত অসুস্থ ছিল না। কিন্তু ঘটনাটা যে সন্তাহ ঘটিয়া গিয়াছে। অবিশ্বাস করিবে কেমন করিয়া ? কেন এমন হয় ? সে কথাই শোন । তোমরা সাধারণতঃ খালি চোখে মশা, মাছি, ছারপোকা, এটোলি, পিপীলিকা এই সব অনেক ছোট ছোট প্রাণী দেখিতে পাও। কিন্তু এই সকল প্রাণী অপেক্ষাও অতি ক্ষুদ্র প্রাণী আছে--তাছাদের খালি চোখে মোটেই দেখিতে পাওয়া যায় না। এইরূপ ক্ষুদ্র প্রাণী অসংগ্য । অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এইক্ষুদ প্রাণীদিগকে দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহাদিগের নাম Microbe—কিনা জীবাণু। অণুবীক্ষণ যন্ধের সাহায্যে হাজার হাজার গুণ বড় করিয়া দেখলে তবে ইহাদের দেখা যায়। এই জীবাণুর কতকগুলি এত ক্ষুদ্র যে, তাছাদের লক্ষ লক্ষটি যদি সমস্থত্রে সাজাও, তবে অধি ইঞ্চিরও বেশী হয় কি না সন্দেহ। কলেরার জীবাণু যদি পাচিশ হাজারটা দিয়া লম্বালম্বি সারগাথা যায়, তবে একইঞ্চি মাত্র লম্বা হয়! তোমরা একটি সরু ছুচের আগায় ইহাদের অনেক হাজার রাখিতে পার। এই জীবাণু শরীরে ঢুকিলে আর রক্ষা নাই। এক