পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f*le-errie) - - পাইবার উপায় কি—এই অবশ দেহ লইয়া কোনও চেষ্টাই তো করিতে পারিব না। রাধিক যে কৃষ্ণকে ভুলিতে পারিতেছেন না, তিনি অস্তরের মধ্যে আছেন, ষ্টাঙ্গণকে ভুলিবেন কেমন করিয়া ? কবি এই ভাব অতি সুন্দরভাবে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন :– পাসরিতে চাহি তারে পাসর। না যায় গো । না দেখি তাকার রূপ মন কেন টানে গে। ॥ খাইতে সিয়ে যদি থাইতে কেন নারি গে। কেশ পানে চাহি যদি নয়ান কেন ঝরে গে। বসন পরিয়৷ থাকি চাহি বসন পানে গো । সমুখে তাহার রূপ সদা মনে ঝাপে গে। ঘরে মোর সাধ নাই কোথt অ।মি যাব গো। না জানি তাছার সঙ্গ কোথা গেলে পাব গে। ॥ চণ্ডীদাস কহে মন নিলাইয়া থাক গেল । সে জন তোমার চিতে সদা লাগি আছে গে1 ॥ তাহাকে ভুলিতে চাই, কিন্তু ভুলিতে তো পারি না। তাহার রূপ চোখে দেখি না, তবু মন কেন তাহার দিকে টানিতেছে । যদি থাইতে বসি, ছাহা হইলে খাইতে পারি না . কেন এমন হয় ? অন্যমনস্কভাবে মাথার চুলের দিকে তাকাইয়া আছি, চোখ দিয়া জল ঝরিতেছে ; অস্ত্যমনস্কভাবে কাপড়ের দিকে তাকাইয়া আছি, হঠাৎ চোখের সামনে তা চার রূপ ভাসিয়া উঠিল । ঘরে আমার কোনও টান নাই, আমি যাইব কোথায়, কোথায় গেলে তার সঙ্গ পাইব । চণ্ডীদাস কঙ্গে, মন নিবারণ করিয়া থাক, শাস্ত হও. কারণ সে লোকটি যে তোমার মনে লাগিয়া আছে, স্বতরাং বাহিরে চাহিবার দরকার নাই । আর একটি পদ দিয়াই এখানে চণ্ডীদাসের কাব্য-কথা শেষ করিব । কি মোহিনী জান বঁধু কি মোহিনী জান। অৰলার প্রাণ নিতে নাহি তোমা হেন ৷ রাতি কৈলু দিবস দিবস কৈলু রাতি। বুঝিতে নারিমু বঁধু তোমার পিরীতি । ঘর কৈলু বাহির বাহির কৈলু ঘর। পর কৈলু আপন আপন কৈলু পর। বঁধু তুমি যদি মোরে নিদারুণ হও । মরিব তোমার আগে দাড়াইয়া রও ॥ বাশুলী আদেশে দ্বিজ চণ্ডীদাসে কয়। পরের লাগিয়া কি আপনা পর হয় ॥ " বঁধু, কি মোহিনী শক্তি জান, তোমার মত অার কেহ এমনভাবে অবলার প্রাণ লষ্টতে পারে না। বাত্রিকে দিন করিলাম, দিনকে রাত করিলাম, তবু হে বঁধু, তোমার প্রেম বুঝিতে পারিলাম না। ঘরকে বাহির করিলাম, বাহিরকে ঘর করিলাম, পরকে আপন করিলাম, আপনাকে পর করিলাম, সবই তোমার জন্য । এখন হে বঁধু, তুমি যদি আমার প্রতি নিষ্ঠুর হও, আমাকে গ্ৰহণ না কর, তা ইলে তোমার সামনে মরিব, তুমি দাড়া ষ্টয়া থাক । বা শুলীর আদেশে দ্বিজ চণ্ডীদাস বলেন, পরের জন্য কি আপনার লোক পর হইয়া যাইতে পারে ? নান্ন,রের মাঠে চণ্ডীদাস সাধনা করিতেন,— নির্জনে কৃষ্ণ-প্রেমের সাধনা। প্রকাণ্ড মাঠের মাঝখানে তাহার পাতার ঘর ছিল, সেই ঘরে তিনি থ:কিতেন । লোকে তাহার নামে নানা দ গা রটাইত, তাহার জীবন যাহাতে কষ্টময় হয় সেজন্য চেষ্টা করে ত, নানা লাঞ্ছনা, গঞ্জ না দিম। তাহাকে বিরক্ত করিতে চেষ্টা পাইত ; কিন্তু চণ্ডীদাস কখনও সাধনার পথ ছাড়িয়া দেন নাই । র্তাহার সরল ভাষায় যে কঠিন ও গভীর ভাব প্রকাশিত হইয়াছে তাঙ্গা আমাদের পক্ষে সহজে বুঝিতে পারা সন্তল নহে কারন তিনি যে ভাল লইয়া লিখিয়াছেন, সেই ভালের ধারণা করিতে গেলে অনেক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা প্রথমে দরকার । সুতরাং এই সকল উচ্চ ভাবের ভাবুকদের পদাবলী আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে বুঝিতে চেষ্টা করিব । রাধ। কৃষ্ণের কথা ইহাদের জীবনের অনেকখানি জুড়িয়া থাকিত; প্রথম দেখা, পরস্পরকে চাওয়া, না পাওয়া এবং শেষে همه t۹۳) د: --- -