পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

x3. পাওয়া—ইহাদের লইয়া, ইহাদের প্রত্যেকটি স্পষ্টভাবে জীবনে বোধ করিয়া কৰি অনুপম ভাষায় বর্ণনা করিয়াছেন, উtহারা যে ভাষায় লিখিয়াছিলেন তাকার অনেক নড় চড় হইয়াছে, সে সব পরিবর্তন আমরা সব সময় বুঝিতে পারি না, সুতরাং এই সকল পদের মধ্যে ভাষা যে সৰ্ববত্র শুদ্ধ আছে, তাহা বলিতে পারি না, তথাপি ইহাহের সৌন্দৰ্য্য এবং আকর্ষণী শক্তি স্বীকার করিতে হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর ঠিক প্রথম দিকে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস এই দুইজনে ভাগীরথী-তীরে একবার দেখা ও আলাপ হয় । দুই জনেই বড় কবি, দুই জনেই ; রাধাকুষ্ণ ভাবে লিভোর, দুই জমেই সাধক ; নানা বিষয়ে ধৰ্ম্মের নানা দিক লই য়া ই তাদের নান৷ প্রশ্ন ছিল, নানা কথা বলিবার ছিল,--এই হনুযোগে তাহারা মনের সাপ মিটাই য়া আলাপ করিয়া লইলেন, যে যে - . কথা লইয়। আলোচনা করে সেই কথা লইয়। আর কণsারও আলোচনা দেখিলে সুখ বোধ করিয়া নিজেদের মধ্যে আলাপ-পরিচয় করিতে ব্যস্ত হয় ;–হয়ত অনেক সন্দেহ মিটিয়া যায় । সুতরাং এই আলাপ কি কি লইয়া হইয়াছিল, তাহা জানিতে পারিলে কত আনন্দ হইত ! এই দুইজনের নাম এক সূত্রে গাথ,–একেবারে ইহাদের দেখা হইয়াছিল, তাহা অতি আনন্দের বিষয়। ( ԳՀԻ -• =वाब्लङनांन्ट्स टाiक्रिघ्कन्वि জয়দেব, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস বাঙ্গলা বৈষ্ণব কাব্যের এই তিন জন আদিকবি । সংস্কৃত সাহিত্যে বাল্মীকিকেই আদিকবি বলা হয় । তিনি কাব্য রচনার যে পথ দেখাইয়া গিয়াছেন, পরবর্তী সকলে তাহার অনুসরণ করে । বাঙ্গলার বৈষ্ণব সাহিত্য খুবই বিস্তৃত, বিশাল ; বহু স্বকবি এই সাহিত্য লিখিয়া গিয়াছেন । কিন্তু উাহারা যেমন শ্ৰীমন্তাগবত গ্রন্থ আশ্রয় ও অনুসরণ চণ্ডীদাসের ভিটা—নার করিয়া লিখিয়াছেন তেমনি এই কবি তিন জনের বন্দনা করিয়াছেন,—কারণ নূতন ধরণের কাব্য রচনার নূতন দিক জয়দেব, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস দেখাইয়া গিয়াছেন। জয় জয়দেব কবি নৃপতি-শিরোমণি বিদ্যাপতি রসধাম । छग्न छग्न 5७ौ দাস রসশেখর অখিল ভুবনে অনুপাম ॥ -- ----.