পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

+++ foots-of-fiel गाँथ1 रुझेtठ प्रकः काफ़िग़ा ग*ल। ७झे नभtप्र श्रश्रम অলিয়া রাবণকে বেশ দু-কথা শুনাইয়। দিল । হুগ্ৰীব ও অঙ্গদের নিকট হইতে যার-পর-নাই অপমানিত কুইম্বা লাবণ বড় বড় সেনাপতিদিগকে ডাকিয়া যুদ্ধের আয়োজন করিতে বলিল। চারিদিকে ক্টাক-ডাক পডিয়া গেল । ঘোর সুদ্ধ অগ্নিস্ত কইল। এই যুদ্ধে রাবণের অনেক ছেলে ও সেনাপতি মরিয়া গেল। ইহার পর রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধে আসিধা নাগপাশ অস্ত্রদ্বারা রামলক্ষ্মণকে বাধিয়া ফেলিতেই বাম-লক্ষ্মণ মূচ্ছিত হুইগ পড়িলেন। বাম-লক্ষ্মণ নাগপাশে বাধা পডিয়াছেন দেখিয়া বানবে বা তাঙ্কাকাল কপিয়া কাদিতে লাগিল। বিভীষণ সবই জানিতেন। মৃচ্ছৰ্ণ কাটিতেই রাম-লক্ষ্মণ গ কন্ডেব স্তব করিতে লাগিলেন। গলড় আসিয়া দাড়াইতেই সাপের স্বাধন সব খুলিয়া গেল। ই গাব পর ধূস্বাক্ষ,বজ্ৰদংষ্ট্র, অকম্পন, প্ৰহস্ত, নবাঞ্চক সমুন্নত, মহানাদ, কল্পকল্প প্রভূতি রাবণের সেনাপতিব্য একে একে যুদ্ধ করিতে আসিয়ামরিয়া গেল। এবার বাপণ নিজেই যুদ্ধ করিতে বাহির হইল এবং লক্ষ্মণের পতি ব্ৰহ্মদত্ত শক্তি চুড়িল। এই শক্তি লক্ষ্মণের বুকে বাজিগ। লক্ষ্মণ স্বজ্ঞান ইয়া পণ্ডিলেন। হনুমান মন্ত্রণকে মৃচ্ছিত ষ্টতে দেখিয়া ঠাeাকে তুলিধা রামচন্দ্রের নিকটে লষ্টয়। স্বাসিল । রামচন্দ্র লক্ষ্মণের দেছে বিদ্ধ সেত শক্তিৰ দিকে চাহিল;মাত্র সেই শক্তি লক্ষ্মণকে তাাগ করিয়া আপনার স্থানে চলিয়া গেল। ই হার পপ মাসিল রাবণের ছোট ভাস্ক কুম্ভকৰ্ণ। বড় ব৮ কলসীর মত তার দুটো কাণ ছিল । কুম্ভকৰ্ণ পড় ভারী বীর ছিল । সে ছ'মাস ঘুমাইয়া এক দিন জাগিত। ঐদিন যুদ্ধ করিতে গেলে তাহার জয় ইষ্টবেষ্ট। কিন্তু কুম্ভকর্ণের ঘুমেল ছ'মাস পূর্ণ হষ্টতে যে এখনো মনেক দেবী। এদিকে যে মস্ত অপমান। রাবণ স্থির চাইতে না পাপিয়া নানা কৌশল করিয়া কুম্ভকর্ণের জাগাইয়ু যুদ্ধে পাঠাইয়া দিল । অসমধে ঘুম হইতে উঠিয়ঃ কম্ভকৰ্ণ ভাল কবিয়া যুদ্ধ করিতে পারিল না –সে বামের হাতে মরিয়া গেল। ইছার পর আসিল অক্তিকায় । সেও গৃদ্ধ করিয়া বামের হাতে নিহত হইল। ইনছিং খবর পাইগা যুদ্ধে আপিল ও রাম-লক্ষ্মণের প্রতি ব্ৰহ্মাস্ত্র প্রয়োগ কবিতেই বাম-লক্ষ্মণ অচেতন হইয় পড়িলেন। বৃদ্ধ জাম্ববানের পরামর্শে হনুমান হিমালয় পার হইয়া বিশল্যকরণী, মৃত্যুসঞ্জীবনী, স্ববর্ণকরণী ও সন্ধানী নামক চারিটি ওষধি আনিবার জন্য চলিয়া গেল। কিন্তু ঐ ওষধি ঠিক চিনিতে না পারিয়া সেই পৰ্ব্বত তুলিয়া আনিল। ওষধির আস্ত্ৰাণ পাইযা রাম-লক্ষ্মণ চৈতন্য লাভ করিলেন। ইহাব পর সে কত যুদ্ধ হইল, তাহ বলিয়া শেষ করা নায় না। কুম্ভ, নিকুম্ভ, স্বপাশ্ব, প্ৰজঙ্ঘ, শোণিতাক্ষ প্রভূতি বাক্ষস এই যুদ্ধে মরিয়া গেল। ইন্দ্রজিৎ এই খবর পাইয়া এক মায়াসীতা নিৰ্ম্মাণ করিয়া বামলক্ষ্মণেব সম্মুখে আনিয়া কাটিয়া ফেলিলে রাম-লক্ষ্মণ প্রভূতি কাতর চইয়। বোদন করিতে লাগিলেন। বিভীষণ রামচন্দ্রকে সকল কথা বfললেন। এবার ইন্দ্রজিৎ রাম-লক্ষ্মকে বধ করিবার জন্য নিকুম্ভিলা যজ্ঞ আরম্ভ করিল। নিকুম্ভিল যজ্ঞ সম্পূর্ণ হইলে ইন্দ্রজিংকে বধ কব কঠিন হুইবে, এইজন্য বিভীষণেব পরামর্শে লক্ষ্মণ সেই যজ্ঞগুহে প্রবেশ করিখা ইন্দ্রজিৎকে বধ করিলেন । লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিংকে বধ করিয়াছে জানিয়া রাবণ লক্ষ্মণেপ প্রতি শক্তিশেল ছুড়িল। শক্তিশেল লক্ষ্মণের বুকে বাজিল। হনুমান আবার ঔষধ পৰ্ব্বত লইয়া আসিল । ঔষধেব অাম্রাণে লক্ষ্মণ চেতনা লাভ কবিলেন। এই সময়ে মহৰ্ষি অগস্তা আসিয়া রামচন্দ্রকে আদিতাঙ্গদয় নামক মন্ত্র দান করিলেন। এই বার রামচন্দ্র ইন্দ্রেব প্রেরিত রথে আরোহণ করিয়া রাবণের সঠিত যুদ্ধে প্ররত্ত হইলেন ও ব্রহ্মাস্ত্র মারিয়া রাবণকে বধ করিলেন । হনুমা অশোক বলে যাইয়। সীতাকে রাবণের মৃত্যু এই সংবাদ জানাইল। এই কথা শুনিয়া সীত। অতান্ত সত্ত্বঃ হষ্টয়া হনুমানেব খুব স্বখ্যাতি করিলেন। সীতাদেবী শীঘ্রই রামচন্দ্রের নিকট আসিলেন। সীতাকে দেখিয়া বাম বলিলেন, সীতা, আমি বহু কষ্টে তোমার উদ্ধার করিয়াছি। এইরূপে আমি বংশের মান রক্ষণ করিলাম। কিন্তু তুমি কিরূপে রক্ষিসের গুহে ছিলে, তাল ত জানি না, এজনা তুমি যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাইতে পাব। রামের মুখে এমন নিদারুণ কথা শুনিয়া সীতাদেবীর যেন বুক ফাটিয়া যাইতে লাগিল। সীতাদেবী বলিলেন, লক্ষ্মণ, আমি আর এ দুঃখ সহ করিতে পারিতেছি না—তুমি চিতা জালিয়া দাও ; আমি তাহাতে পুড়িয়া মরিব । সীতার দুঃখে লক্ষ্মণ অতিশয় কাতর হইয়া চিতা সাজাইয়া দিলেন। সীতাদেবী বলিলেন – ►ማ8