পাতা:শুভাশুভ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ধের সীমা নেই। তবু দু’টাে একটার বেশী কুঁড়ি ফলে না কোন চারাতে ; ছেলেবেলা মামাবাড়ী গিয়ে এমনি কুয়াশাবিহীন কন কন করা শীতের: রাত্রির শেষে এলোমেলো ভাবে দূর দূরান্তরে ছড়ানো তাল নারকেল গাছের ) ডগায় এমনি মৃদু সোনালী রোদের ছোয়াচ লেগে ভোর হতে দেখেছিল । কতবার । মা যেতে পারুক বা না পারুক, ভাগ্নীরা মরুক বাচুক, একমাত্র ভাগ্নে তাকে মামারা প্ৰতি বছর রাজপুত্রের মত সমাদরের সঙ্গে নিয়ে যেত, পায়েস মিষ্টি মিষ্টান্না পিঠা পাটালি খাইয়ে খাইয়ে একেবারে লেজে গোবরে হওয়ার মত পেট খারাপের অবস্থায় পৌছলে হঠাৎ খাওয়া বন্ধ করে কয়েকটা কড়া কবিরাজী বড়ি আর পাচন খাইয়ে মোটামুটি সামলে দিয়ে তাকে ফেরত পাঠাত। সে সব কিছুই ভোলেনি সমরেশ । পেটে অতিরিক্ত বোঝাই নেবার কষ্টে শেয রাত্রে ছটফট করতে করতে দু’তিন বার প্রাণের ভয় ত্যাগ করে ঘাটের পাশের জঙ্গলের ধারে আর ঘাটে যাওয়া আসা করে । আরও খানিকক্ষণ ঘুমিয়ে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাটা তার মনে ছাপ রেখে গেছে। জেলখানার কয়েদী হবার মত । যদিও জেলে যাবার কোন অভিজ্ঞতা তার নেই । একমাত্ৰ শ্ৰীতি ছাড়া বোনেরা কে আগে উঠবে কে পরে উঠবে কোন নিয়ম নেই। কোনদিন আগে ওঠে ওদের মধ্যে বড় সুমতি, কোনদিন সে ওঠে সকলের GaR A কোনদিন ওদের সবার আগে ওঠে সবার ছোট সুনীতি । ঘড়ির হিসাব ধরলে মাঝখানের দু’জন, প্ৰণতি আর প্রভাতী ওঠে। প্ৰায় ঘড়ি ধরে একই সময়ে । গরম কাপড়ের কোন অভাব নেই-আরও কয়েক বছর চলে যাবে। সকলেই শীতকালে বেশ দামী দামী নতুন পুরানো আলোয়ান গায় দিতে পায়। ፴፩ ግ