পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ প্রশ্ন । ५७8 সত্যি, কিন্তু আজ গুনতে পেলাম মাথা ধরে বিছানা নিয়েছেন । শরীরটা বোধহয় একটু বেশি রকমই খারাপ হয়েছে, নইলে এ তার স্বভাব নয়। কোন মানুষই যে অবিশ্রান্ত এত সেবা, এত পরিশ্রম করতে পারে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না । ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া বলিলেন, অবিনাশের সঙ্গে আলাপ আগ্রায়। মাঝে মাঝে আসি যাই,—কতটুকুই বা পরিচয়—অথচ, আজ ভাবি সংসারে আপন-পর বলে যে একটা কথা আছে সে কত অর্থহীন। দুনিয়ায় আপনার-পর কেউ নেই কমল, স্রোতের টানে কে যে কখন কাছে আসে, আর কে যে ভেসে দুরে যায় তার কোন হিসেব কেউ জানেন । কথাটা যে কাহাকে উদ্দেশ করিয়া কিসের দুঃখে বলা হইল তাহ শুধু সেই অপরিচিত রমণী বেলা ব্যতীত অপর দু’জনেই বুঝিল । আশুবাবু কতকটা যেন নিজের মনেই বলিতে লাগিলেন, এই রোগ থেকে উঠে পর্য্যন্ত সংসারে অনেক জিনিসই যেন আর এক রকম চেহারায় চোখে ঠেকে। মনে হয়, কিসের জন্তেই বা এত টানাটানি, এত বাধাবাধি, এত ভাল-মন্দর বাদানুবাদ,—মানুযে অনেক ভুল, অনেক ফাকি নিজের চারপাশে জমা করে স্বেচ্ছায় কানা হয়ে গেছে । আজও তাকে বহু যুগ ধরে অনেক অজানা সত্য আবিষ্কার করতে হবে তবে যদি একদিন সে সত্যিকার মানুষ হয়ে উঠতে পারে। আনন্দ তো নয়, নিরানন্দই যেন তার সভ্যতা ও ভদ্রতার চরম লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। ‘.

  • কমল বিস্ময়ে চাহিয়া রহিল । তাহার বাক্যের তাৎপৰ্য্য যে নিঃসংশয়ে বুঝিতেছে তাহা নয়,–যেন কুয়াশার মধ্যে আগন্তুকের মুঞ্চ দেখা । কিন্তু পায়ের চলন অত্যন্ত চেনা।