বিরক্ত হইয়া তাহাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করি নাই, আমার গৃহে গিয়া শয়ন করিয়াছিলাম।
পঞ্চম ভাড়াটিয়া কহিল,—রাত্রি আন্দাজ বারটা কি একটার সময় আমার নিদ্রাভঙ্গ হইয়া যায়। আমি আমার গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া, আমার গৃহের সম্মুখের বারান্দার উপর আসিয়া উপবেশন করি। সেই সময় রাজকুমারীর গৃহ হইতে কেমন একরূপ গোঁ গোঁ শব্দ আসিয়া আমার কর্ণে প্রবেশ করে। আমি উঠিয়া ধীরে ধীরে রাজকুমারীর গৃহের নিকট গমন করি, এবং তাহার গৃহের দরজা ঠেলিয়া দেখি, উহা ভিতর হইতে বন্ধ। বেড়ার ফাক দিয়া দেখিতে পাই, উহার গৃহে একটী প্রদীপ জ্বলিতেছে, মেঝেয় পাটির উপর রাজকুমারী চিৎ হইয়া রহিয়াছে, হরি তাহার বুকের উপর বসিয়া রহিয়াছে, রাজকুমারী অল্প অল্প গোঁ গোঁ শব্দ করিতেছে। এই ব্যাপার দেখিয়া আমার মনে অন্য এক ভাবের উদয় হইল। আমি মনে মনে সবিশেষ লজ্জিত হইয়া আমার গৃহের ভিতর প্রবেশ করিলাম। তৎপরে আমার গৃহের দরজা বন্ধ করিয়া, আমি আমার বিছানায় শয়ন করিলাম।”
ষষ্ঠ স্ত্রীলোক বা বিধু কহিল,—“যে দিবস প্রাতঃকালে রাজকুমারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়, তাহার পূর্ব্ব রজনী আন্দাজ একটা কি দেড়টার সময় আমি আমার গৃহ হইতে বাহিরে গমন করিয়াছিলাম। সেই সময় রাজকুমারীর গৃহ হইতে অল্প গোঁ গোঁ শব্দ আমার কর্ণে প্রবেশ করে। কিসের শব্দ তাহা আমি কিছুই বুঝিতে না পারিয়া, কিয়ৎক্ষণ আমার গৃহের সম্মুখে দাঁড়াইয়া থাকি। তাহার পরই দেখিতে পাই, হরি রাজকুমারীর গৃহ হইতে বাহিরে গমন করে, এবং দ্রুতপদে সদর দরজার নিকট গমন করিয়া, সেই দরজা খুলিয়া বাড়ী