পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্থ দৃশ্য

শশধরের ঘর।

সম্মুখেই বাগান

 সতীশ। বাবার শাপ এখনো ছাড়ে নি, মা, এখনো ছাড়েনি। তিনি আমার ভাগ্যের উপরে এখনো চেপে ব’সে আছেন।

 বিধু। আমাদেব যা ক’রবাব, তা তো ক’রেচি, গয়াতে তাঁব সপিণ্ডীকরণ হ’য়ে গেলো—তোর মাসীর কল্যাণে ব্রাহ্মণবিদায়েরও ভালো আয়োজন হ’য়েছিল।

 সতীশ। সেই পুণ্যফল মাসির কপালেই ফ’ললো। নইলে—

 বিধু। তাই তো। নইলে এত বয়সে তাঁর ছেলে হবে, এমন সর্ব্বনেশে কথা স্বপ্নেও ভাবিনি।

 সতীশ। অন্যায়। অন্যায়। বাবার সম্পত্তি পেতে পার্‌তুম, তার থেকে বঞ্চিত হলুম, তার পরে আবার—কি অন্যায়।

 বিধু। অন্যায় নয় তো কি? নিজের বোন্‌পোকে এমন করেও ঠকালে? শেষকালে দয়াল ডাক্তারের ওষুধ তো খাটলো, আমরা কালীঘাটে এত মানত ক’রলুম, তার কিছুই হ’লোনা। একেই বলে কলিকাল। একমনে ভগবান্‌কে ডাক্—তিনি যদি এখনো—

 সতীশ। মা এঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিলো, কিন্তু যে রকম অন্যায় হ’লো, তাতে—ঈশ্বরের কাছে—তিনি দয়া করে’ যেন—

৫8 ]