পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল উত্তেজনা ! রমণীরা গুরুর মুখে মুখ লাগাইয়া উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করিবে, , সে জন্য কি প্ৰতিদ্বন্দিতা ! কি আগ্ৰহ! কাহারও গণ্ড লজ্জায় আরক্তিম, তবুও’ সমস্ত সংযমের বাধা ভাঙ্গিয়া সে গুরুর উচ্ছিষ্টের জন্য উতলা হইয়া তাহার ক্রোড়ের উপর যাইয়া দশাপ্ৰাপ্ত হইতেছে। কুলবধুরা যেন একদিনের জন্য তাঁহাদের বন্দীশালা হইতে মুক্ত হইয়া স্বাধীনতার মুখ দেখিয়াছে।, তাহদের সকলেই প্ৰফুল্ল, সকলেই উত্তেজিত । সেই প্ৰসাদ লইয়া কাড়াকড়ির উত্তেজনায় তাহদের সাড়ী ও নীবি-বন্ধ শিথিল হইয়াছে, সেদিকে দৃকপাত নাই। গুরুজির মুখ ধোওয়াইবার জন্য পুনরায় বহু কোমল হস্ত প্রসারিত হইতেছে,-গুরু সেই আনন্দ-সমুদ্রে খেই পাইতেছে না। অপর দিকে জয়-ঢাক ও কাড়া-নাকড়া বাজিয়া উঠিয়াছে। “আচাৰ্য্যের আদেশে শক্ৰশিবির হইতে কতকগুলি বন্দীকে তথায় পাঠান হইয়াছে। আজ তাহদের মহা-বলির দিন। “ভীষণা,” লোল-রসনা মা, তুমি কি সন্তানকে এইভাবে গ্রহণ করা? পুরোহিত পূর্ণাভিষিক্ত, সেই সকল হতভাগ্য বলি একে একে দেবীর জন্য প্রাণত্যাগ করিল। রাশি রাশি ফুল্ল রক্তপদ্মের সঙ্গে সেই রক্তান্দ্রি নরমুণ্ড দেবীর পদতলে শোভা পাইতে লাগিল। “ভীষণা” যেন তখন সেখানে আরও ভীষণা হইলেন। কাড়ানাকড়া থামিয়া গেল। এক ভক্ত সেই নরমুণ্ডের রক্ত সর্বাঙ্গে মাখিয়া গাহিতে এলাগিল-“লোল-রসন করাল-বদনী ।” S। 8ଅର