পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনাত “মন্দির-বাহিরে কঠিন কপাট৷ চলাইতে শঙ্কিত পঙ্কিল বাট তাহে অতি দূরতর বাদল-দোেল। বারি কি বারই নীল নিচোল ॥” -গোবিন্দদাস। পূর্বের একটা প্রসঙ্গ উত্থাপন করার প্রয়োজন হইয়াছে। রাজা মহেন্দ্র সেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র যুবরাজ বিমলেন্দু ২২ বৎসর বয়সে অকালে মৃত্যু-মুখে পতিত হন। তঁহার বিধবা মহিষী ছিলেন ব্ৰহ্মক্ষত্ৰিয় বংশের এক মহাকুলীন, রাঢ়বাসী আঢ্য ব্যক্তির কন্যা । তাহার সেই কন্যা ছাড়া আর কেহ ছিল না এবং তঁহার ধৰ্ম্মমতও কতকটা তথ্যগতের ধর্মের অনুকুল ছিল। এজন্য তিনি র্তাহার পরম সুন্দরী কন্যা স্বর্ণমঞ্জরী দেবীকে যুবরাজের সঙ্গে বিবাহ দিয়া সাভারে আসিয়াই বসবাস করিয়াছিলেন। যুবরাজের মৃত্যুর কিছু পূর্বে তিনি প্রাণত্যাগ করেন। সুতরাং যুবরাজপত্নীর পিতৃকুল, মাতৃকুলের কেহ সাভারে ছিলেন না। যুবরাজের মৃত্যুর কিছু পূর্বে র্তাহার একটি পুত্রসন্তান হয়। সে যখন অপোগণ্ড শিশু, তখন স্বর্ণমঞ্জরী দেবীর বৈধব্য ঘটিয়াছিল। কিন্তু তিনি বহু চেষ্টা করিয়াও স্বামীর সঙ্গে সহমরণে যাইতে পারেন। VGS