খাইয়া মরিতে লাগিল। ফাঁপানাে-মন্দ্রনীতির জন্য ভারত-সরকার তথা ব্রিটিশ শাসনযন্ত্র দায়ী। এই বিষয়ে খলিয়া বলিলে সাহস ও সত্যভাষণের জন্য সরবরাহ-সচিবকে প্রশংসা করা যাইত। পালামেন্টের বিতক-সভায় মিঃ পেথিক লরেন্স কয়েকটি খাঁটি কথা বলিয়াছিলেন। ‘বাঁচিয়া থাকিবার জন্য যে খাদ্যশস্যের প্রয়োজন, তাহা কিনিবার ক্ষমতা অসংখ্য লোকের নাই। মাদ্রাস্ফীতিই এই অত্যধিক মাল্য-বদ্ধির কারণ। ইহার জন্য আর কেহ নয়—একমাত্র ভারতগভর্ণমেন্টই দায়ী।” মিঃ অ্যামেরিও আমতা-আমতা করিয়া ইহাতে একরকম সায় দিলেন। তিনি বলিলেন, “সমস্যাটি হইতেছে অত্যধিক মাল্যবদ্ধি ও খাদ্যশস্যের অপ্রতুলতা। জনসাধারণের হাতে কিনিবার মতো টাকা ছিল নী, ইহা ঠিক। তাহা হইলে অবস্থাটা আজিকার মতো এমন শোচনীয় হইয়া উঠিতে পারিত না।” একটা কথা মনে রাখিতে হইবে। টাকা থাকিলেই হয় না। অনেকে দিন আনিত, দিন খাইত; জিনিসের ক্রমবর্ধমান দামের সহিত তাহদের সঙ্গতি তাল রাখিতে পারিল না। নিঃসবে নিরন্ন হইয়া এমন অবস্থার লোক প্রভূত পরিমাণে মরিয়াছে। অথচ মাদ্রাস্ফীতি রোধ করিবার উল্লেখযোগ্য চেন্টা কিছই হয় নাই; অবস্থা আয়ত্তের বাহিরে গেলে তবে কতাদের কিছ টনক নড়িয়াছে। সরবরাহ-সচিবের হিসাবে অপচয়ের কথাটাও নাই। কৃষক, মধ্যবিত্তক্রেতা, দোকানদার প্রভৃতির বিরদ্ধে এ যাবত খাব আস্ফালন চলিয়াছে; মিঃ অ্যামেরির দল বলিয়াছেন, মাল মজত করিয়া রাখিয়া ইহারাই দভিক্ষ ঘটাইয়াছে। আসল গলদ যেখানে, সেদিক হইতে এই প্রকারে সকলের দন্টি আচ্ছন্ন করিয়া রাখা হইয়াছে। বাজারের সব চেয়ে বড় ক্রেতা সরকার ; সব চেয়ে বড় মজাতদারও সরকার এবং সরকারের সাহায্যকারী কলকারখানার মালিক ও ধনিক-সম্প্রদায়। মজাত খাদ্যের মধ্যে কত যে অপচয় হইয়াছে, তাহার হিসাব কে দিবে ? ব্ৰহ্ম-সীমান্তে যাদ্ধভান্ডারে অপরিমেয় আহায্য নকেট হইয়াছে। ভারত-সরকারের সঞ্চিত ময়দা ছোলা ছাতু প্রভৃতির কি পরিমাণ অপচয় হইয়াছে, তাহার সঠিক হিসাব পাইলে বতমান দভি ক্ষের অনেক রহস্য উদ্ঘাটিত হইবে। কলিকাতায় এ. আর. পি-র আনকল্যে শত্র-বিড়ম্বিতদের জন্য যে Rn
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/২৭
অবয়ব