নাই। এবারেও দেখা গিয়াছে, অন্য প্রদেশ হইতে—বিশেষতঃ লাটশাসিত প্রদেশগলি হইতে—চাউল কিনিতে গিয়া বাঙলা-সরকার সবিধা করিয়া উঠিতে পারেন নাই। লাভের কারবার খািব চলিয়াছিল।” কোম্পানির কমচারীরা এমন অবস্থা করিয়া তুলিল যে বাজারে চাউল পাইবার উপায় রহিল না। দেশে হাহাকার উঠিল; প্রতিবাদ উঠিতে লাগিল। এমন কি কোম্পানির ডিরেক্টররাও কমচারীদের অপকম ও অর্থগধাতার অজস্র নিন্দা করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে ফল হয় নাই। ১৯৪৩ অব্দেও ঐরাপ ঘটিয়াছে। চারিদিকে প্রচুয় কলরব উঠিলে মাত্র ১৫ই সেপ্টেম্বর সরবরাহ-সচিব স্বীকার করিলেন, অন্য প্রদেশের চাউল বাঙলায় বেচিয়া গবৰ্ণমেণ্টের লাভ হইয়াছে বটে, তবে সেটা গোড়ার দিকটায়। ইত্যাদি, ইত্যাদি। তখনকার দিনেও অধিক পরিমাণে মাল কেনা ও মজত করার বিরদ্ধে হকুম জারি হইয়াছিল। অন্নাভাবে মানষি মরিতেছে, তব, অবাধ-রপ্তানি চলিতেছিল। জর্জ টমসনের মতে, ‘দাভিক্ষের সময়ে রপ্তানিটা যদি বন্ধ থাকিত, তাহা হইলে চাউলে কুলাইয়া যাইত অনাহারে মানষে মরিত না।” এই রপ্তানি কবে শহর হইয়াছিল জানা যায় নাই; ১৪ই নভেম্বর (১৭৭o) অনেক চেন্টার পর রপ্তানি বন্ধ করা হয়, ইতিহাসে “এই বিবরণ রহিয়াছে। এবারেও রপ্তানির বিরদ্ধে অনেক চোঁচামেচি হইয়াছিল ; কতৃপক্ষ কৰ্ণপাত করেন নাই। অনেক বিলম্বে ২৩শে জলাই তারিখ হইতে রপ্তানি কতক পরিমাণে বন্ধ হইল, একেবারে বন্ধ হয় নাই। এখনও কয়েকটি ব্যাপারে বিদেশে চাউল রপ্তানি হইতে পরিবে, তবে সরকারি হিসাবে উহা মাসিক এক হাজার টনের অধিক হইবে না। সরবরাহসচিব পঞ্চাশের মন্বন্তরের যে-সব কারণ দিয়াছেন, তাহার মধ্যে এই রপ্তানি-প্রসঙ্গেরও উল্লেখ নাই। বাঙলাদেশ ১৭৭০ অব্দের ধাক্কা সহজে সামলাইতে পারে নাই; অভাব লাগিয়াই ছিল। ১৭৮৩ অব্দে আবার দভিক্ষ দেখা দিল। S8
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩০
অবয়ব