এইবার কর্তৃপক্ষ একটা সবদ্ধির পরিচয় দিলেন, জলপথে রপ্তানি একেবারে বন্ধ করিয়া দিলেন। একটি কমিটি তৈয়ারি করিয়া তাহার উপর দন্ডমন্ডের চরম ক্ষমতা দেওয়া হইল। নির্দেশ দেওয়া হইল, যদি কোন ব্যবসাদার খাদ্যশস্য গোপনে মজত করিয়া রাখে, বাজারে আনিয়া ন্যায্য মল্যে বেচিতে অস্বীকার করে—তবে তাহাকে ভয়ানক শাস্তি দেওয়া তো হইবেই, অধিকন্তু তাহার মাল বাজেয়াপ্ত করিয়া গরিবদের মধ্যে বিলাইয়া দেওয়া হইবে। পঞ্চাশের মন্বন্তরেও এইরােপ আদেশ দেওয়া হইয়াছিল। ফল কি হইয়াছে, হাজার হাজার মানষে প্ৰাণ দিয়া তাহা দেখাইয়া গেল। সরকারি আদেশ অবাধে এবং প্রায় প্রকাশ্য ভাবেই অবহেলিত হইয়াছে। সরকারও আদেশের পর আদেশ সংশোধন করিয়া চলিয়াছিলেন। ১৭৮৩ অব্দের দাভিক্ষে আর একটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব হইয়াছিল, বাঙলা ও বিহার এই দই প্রদেশের জন্য একটি কায়েমী শস্যাগার তৈয়ারি করিতে হইবে। তদনযায়ী পাটনায় পাকা-গাঁথনির এক প্রকান্ড গোলাঘর frifas 233 fact \OI&ICS GT3T WICz-For the perpetual prevention of famines in India. -hy (IGirls fosferriè Ir's রহিয়া গেল, কোনদিন একমঠা ধান তাহার মধ্যে পড়ে নাই। পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময়েও ফিড গ্রেইনস কমিটি সপোরিশ করিয়াছেন, একটা কেন্দ্ৰীয শস্যাগার তৈয়ারি করিতে। এই শস্যাগারের জন্য পাকা ইমারত তৈয়ারি হইবে কিনা, এবং শেষ পযন্ত ইহাতে কি পরিমাণ শস্য উঠিবে, তাহা দেখিবার বিষয়। ১৮৬৬ অব্দে যে মন্বন্তর ঘটে, উহাকে সাধারণত উড়িষ্যার দভিক্ষ বলা হয়। “সব গ্রাসী দাভিক্ষের সমদ্রে সমগ্র উড়িষ্যা পরিপ্লাবিত হইয়া গিয়াছিল। বাঙলাদেশের মেদিনীপর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, নদীয়া, হগলি ও মার্শিদাবাদ জেলায় উহার ঢেউ আসিয়াছিল। এই মন্বন্তরের কবলে উড়িষ্যার যে অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে, আজ বাঙলার অবস্থাও অবিকল সেইরােপ। দেশের একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন অগণিত অন্নহীন মারা পড়িতেছে, শিয়াল-কুকুর মানষের শব ছোড়াছোড়ি করিতেছে। সরবরাহ-সচিব অবশ্য বলিতে চাহিয়াছেন, বাঙলার সমস্ত অঞ্চল দভিক্ষাগ্ৰস্ত হয় নাই। কিন্তু ধাপা দিয়া সত্যকে চাপা দেওয়া RC
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩১
অবয়ব