পরিমাণ খাদ্য রহিয়াছে তদনপাতে মাল্যবদ্ধি অসংগত হইয়াছে। মাজত মাল বাজারে বাহির করিতে পারিলেই সংকট দরি হইয়া যাইবে।” ১৮৬৬ অব্দের মার্চ মাসেই চাউল-আমদানির দাবি উঠিয়াছিল। তখন বাড়ি-ঘর ছাড়িয়া লোকে ইতস্তত ঘরিতে শার করিয়াছে, স্থানে স্থানে খাদ্য লািঠ হইতেছে। কিন্তু সরকার প্রত্যাসন্ন সংকট উপলব্ধি করিতে পারিলেন না। ২৮শে মার্চ স্যার আর্থার কটন দভিক্ষ-নিবারণের জন্য সরকারকে অবহিত হইতে বলিলেন। এপ্রিল মাসে কলিকাতায় চাঁদা তুলিয়া লোক খাওয়াইবার ব্যবস্থা হইল। কিন্তু রেভেনিউ-বোডের তখনও সন্দেহ, সত্যই খাদ্যাভাব ঘটিয়াছে কিনা। ক্রমে চাউল একেবারে অমিল হইয়া গেল। সৈন্য, সরকারি চাকুরিয়া এবং কয়েদিদের জন্যও চাউল মিলে না। তখন লেফটেন্যান্ট-গবণর বাহির হইতে চাউল আমদানির হকুম দিলেন। সরকারের অকমণ্যতায় এই দাভিক্ষে প্রায় দশ লক্ষ লোক মারা যায়। এইজন্য দভিক্ষ-কমিশন রেভেনিউ-বোডকে খাব দোষ দিলেন। ১৮৬৭ অব্দের ১১ই আগস্ট রেভেনিউ-বোড অজস্র ব্ৰটি স্বীকার করিয়া বলিলেন, “সময় মতো কাজে হাত না দেওয়ায় এবং প্রয়োজনের তুলনায় ব্যবস্থা নিতান্ত অপৰ্যাপ্ত হওয়ায় দৈিদব ঘটিয়াছে। কমকতাদের মধ্যে আনাড়ি লোক ছিল, দভিক্ষের লক্ষণ দেখিয়াও তাঁহারা ধরিতে পারেন নাই। কাজে নামিতে অনেক দেরি হইয়া যাওয়ায় এমন অবস্থা ঘটিল যে শেষে টাকা দিয়াও খাদ্য মিলে নাই।” রেভেনিউবোড সম্বীকার করিলেন, মিঃ র্যাভেন শ’র টেলিগ্রাম পাইয়া তৎক্ষণাৎ যদি কাজে নামা হাইত, তাহা হইলে অসংখ্য জীবন রক্ষা পাইত। ১৯৪৩ অব্দের দাভিক্ষের ঠিক এই অবস্থা। আনাড়ি লোকের উপর ভার দিয়া বিস্তর অঘটন ঘাঁটিয়াছে। একজনে একটা কাজের ভার পাইলেন, সে বিষয়ে কিছ অভিজ্ঞতা লাভের পর্বেই তাঁহাকে অন্য বিভাগে চালান করা হইল। বাঙলা ও কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্য-সংক্রান্ত কমচারীদের এত রদবদল করিয়াছেন যে দ্রুততায় উহার কাছে সিনেমাছবিও হার মানিয়া যায়। ১৯৩৯ অব্দের অক্টোবর হইতে ১৯৪২ অব্দের করিয়াছেন। ১৯৪২ অব্দের ডিসেম্বরে খাদ্য-বিভাগ সম্পট হয়; ১৯৪২ অব্দের এপ্রিলে ফন্ড এডভাইসরি কাউন্সিল হয়। ১৯৪৩ অব্দের ՀԳ
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩৩
অবয়ব