এপ্রিলে রিজিওন্যাল ফন্ড-কমিশনার নিযক্ত হন। গড়ে মাস দীয়েক ব্যাপার; বাঙলায় যে কত রকম পট-পরিবতন হইয়াছে, তাহা সকলেই আমরা চোখের উপর দেখিয়াছি। সরকারি ঔদাসীন্যের ফলে ১৯৪৩ অব্দে ঠিক ১৮৬৬ অব্দের মতো অবস্থা অতি শোচনীয় হইল। টাকা ফেলিলেও চাউল মিলে নাই। চাঁদা তুলিয়া নানা প্রতিষ্ঠান লোক খাওয়াইবার ব্যবস্থা করিল। সরকার মনে করিলেন, এই রকম হাজার কয়েক লোক খাওয়াইয়াই জনসাধারণ হাঙ্গামাটা চুকাইয়া দিবে, তাঁহাদের মাথা ঘামাইবার গরজ হইবে না। পেটের দায়ে মানষে যে ঘরবাড়ি ছাড়িয়া পথে বাহির হইয়াছে, শহরমাখো ধাওয়া করিয়াছে, কতাদের সেদিকে নজর পড়িল না। " অথচ এই অৱস্থাই সকলের চেয়ে মারাত্মক। গ্রামের মধ্যে খাদ্য পৌছাইয়া দিলে লোকের ঘর-গহস্থালি খানিকটা বজায় থাকিত, তাহারা কিছ কিছ আয় করিতেও পারিত, যথাসম্ভব শীঘ্র সর্বাবলম্বী হইয়া আবার মাথা তুলিবার প্রবত্তি তাহদের মনের মধ্যে জাগরকে থাকিত। দভিক্ষ গ্রামের মানষেকে তাড়াইয়া শহরে আনে। যে ছিল গহস্থ, আত্মসম্পমান হারাইয়া সে পথের ভিখারী হইয়া দাঁড়ায়। ১৮৭৮ অব্দের দভিক্ষ-কমিশনে স্যার রিচাড টেম্পল এই সম্পকে বলেন, “খাদ্যের সন্ধানে মানষ ঘরবাড়ি ছাড়িয়া যখন ঘোরাঘটির আরম্ভ করে, দভিক্ষে সেই অবস্থা সকলের চেয়ে ভয়াবহ। ইহার ফলে লোক নীতিভ্রম্পট হইয় পড়ে। গ্রামে। শঙখলার সহিত সাহ র ব্যবস্থা করিয়া এই ঘোরাঘরি বন্ধ করিয়া ফেলা উচিত। কয়েকটি গ্রাম লইয়া এক একটি সাহায্যকেন্দ্র হইবে। উপযক্ত সময়ে দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থা করিলে ঘোরাঘরি বন্ধ হইবে।” ১৮৬৬ অব্দেও লোকে ঘরবাড়ি ছাড়িয়াছিল; ১৯৪৩ অব্দের মতোই সদর রাস্তায় মমষ অবস্থায় মানষে পড়িয়া থাকিত। আগস্ট মাসে মানষে লঙ্গরখানায় জমায়েত হইত। তাহদের উপযক্ত আশ্রয় ছিল না। করিতেছে। তখন একরকম জোর করিয়াই শহরের অন্নসত্র বন্ধ করিয়া Sb
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩৪
অবয়ব