বলা যাইতে পারে। কিন্তু পঞ্চাশের মন্বন্তরে ইহা সম্পণে অবহেলিত হইয়াছে। কিন্তু সেবার এত সব্যবস্থার মধ্যেও চাউল রপ্তানি হইতেছিল। স্যার জজ ক্যাম্পবেল উহার তীৱ প্ৰতিবাদ করেন। ১২ই অক্টোবর (১৮৭৩) তিনি আসন্ন বিপদ সম্পকে ভারত-সরকারকে সতকা করিয়া অনরোধ জানাইলেন যেন—(১) অবিলম্পেব সেবাকায শহর করিয়া দেওয়া হয়; (২) বাহির হইতে চাউল আনিবার বন্দোবস্ত হয়; এবং (৩) ভারতবিষ হইতে চাউল রপতানি একেবারে বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। বড়লাট চাউল রপ্তানি বন্ধ করিতে রাজি হইলেন না; সেক্রেটারি অব সেটটিকে তাঁহার আপত্তির বিষয় জানাইলেন। যে-সব ভারতীয় কুলি মরিসস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিংহল ও অন্যান্য দেশে গিয়াছে (বেশির ভাগই ইউরোপীয় বাগিচায় কাজ করিতে) চাউল বন্ধ করিলে তাহদের উপায় কি ? ১৯৪৩ অব্দে অবিকল ইহারই প্ৰতিধৰনি শোনা গিয়াছে। সিংহলের আমাদিগকে ভাবিতে হইয়াছে। ১৮৭৩-৭৪ অব্দে সাব্যবস্থা যত কিছ হইয়াছিল, কিছই গ্রহণ করি নাই; কেবল সেবারকার চাউল রপ্তানি নীতিটা বহাল রাখিয়াছিলাম।*
- এই প্ৰবন্ধ-সংকলনে শ্ৰীষত কালীচরণ ঘোষ কর্তৃক সংগহীত উপাদানের সাহাষ্য লওয়া হইয়াছে।
ᏬᎤ