পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-সম্প্রসারণ একের সহিত অন্যকে মিলায়, ইহাই সাহিত্যের ধ্যম। যে অজ্ঞানের করে, সাহিত্যের স্নিগ্ধ আলোকে সে অন্ধকার দরীভূত হয়। মানষের সহিত মানষের মিলনসাধন করিয়াই সাহিত্য ক্ষান্ত হয় না। জাতির সহিত জাত্যন্তরের, দেশের সহিত দেশান্তরের, অতীতের সহিত বতমানের এবং বতমানের সহিত ভবিষ্যতের সংযোগ স্থাপন করিয়া সাহিত্য বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন মানবকে ঐক্যের সনিবিড় বন্ধনে সংবদ্ধ করে। যে জাতির নিজস্ব সাহিত্যের অভাব, সে জাতি বিশ্বের কাছে অপরিচিত, এমন কি নিজের কাছেও। আমরা বাঙালী অশেষবিধ ভাগ্যবিড়ম্বনায় বিড়ম্বিত হইয়াও যে একটি মাত্ৰ ঐশ্বয লইয়া গর্ব করিতে পারি, সে আমাদের সাহিত্য। একদিন তো আমাদের সবই ছিল। আমাদের অন্নপর্ণার পর্ণপাত্ৰ কত বক্তৃক্ষর রিক্তথালি পণ করিয়াছে, আমাদের মহালক্ষমীর রত্নপোটিকা কত ভিক্ষকের ভিক্ষার ঝলি মণিমাণিক্যে ভরিয়া দিয়াছে, আমাদের শিলপািনভার বিশ্বের বিস্ময় উৎপাদনা করিয়াছে। অতীত গৌরবের পবিত্র পরাতন দিনগলি আজ যে বতমানের বাস্তব ক্ষেত্রে রপান্তর লাভ না করিয়া সমাতিলোকের মধ্যেই প্রচ্ছন্ন আছে সেজন্য দঃখ করিতে হয় করিব, কিন্তু আর নিলজের মত বারংবার নিজের অদম্ৰাটকে ধিক্কার দিব না। কেন গিয়াছে কাহার দোষে গিয়াছে সে কথা আজ আর আমাদের অবিদিত নাই, সতরাং সে আলোচনা নিমফল। কেমন করিয়া হারানো জিনিস আবার ফিরিয়া পাইবা তাহার আলোচনাও আজিকার ক্ষেত্রে অবান্তর। কিন্তু এই প্রশন স্বভাবতই মনে উদিত হয়, বহা শতাব্দীর বিবিধ ভাগ্যবিপর্যায়ের দ্বারা বিপর্যন্ত হইয়াও আমরা প্রাণশক্তি হারাইয়া ফেলি নাই কেন ? রোগ-শোক-দঃখ-দারিদ্র্য, G)S