সেখানেও স্বহস্তে কাঁটাগাছ রোপণ করবার উৎসাহ ব্যথা পেল না, লজ্জা ८°ऴ् । ?? যে অশিক্ষিত অবদ্ধি আমাদের ভাগ্যের ভিত্তি ভাঙিবার চেন্টায় রত, তাহাকে দারীভুত করিবার সব প্রধান উপায় দেশব্যাপী শিক্ষার প্রসার। সাহিত্যের মধ্য দিয়াই দেশকে সহজে শিক্ষিত করা সম্ভব। আপন প্রাদেশিক ভাষায় আপন প্রদেশের জনগণকে শিক্ষিত করিয়া জাতীয় সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ঠািট রত্নগিলি তাহদের সম্মখে ধরিতে হইবে। সাব-দেশকে, সাব-জাতিকে, আপনার সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে জানিবার এবং শ্রদ্ধা করিবার শিক্ষা পাইয়া জনগণ ধন্য হইবে। জাতীয় উন্নতির ইহাই 2ga \g 2KIN GAI9IN সাহিত্যের প্রচার শােধ প্রদেশের মধ্যে আবদ্ধ রাখিলেই চলিবে না, করিতে হইবে। এক ভাষার গ্রন্থ অন্যভাষী পাঠকের পঠনযোগ্য করিয়া পরিচিত হইয়া আপনাআপন মত গঠন, বিজন অথবা সংশোধন করিবার জন্য ইহা অপেক্ষা যোগ্যতর উপায়ের কথা তো আমি ভাবিয়া পাই না। এইখানে সর্বভাবতই প্রশন উঠিবে, এক ভাষার গ্রন্থ অন্যভাষীর পঠনযোগ্য করা কি ভাবে সম্ভব হইবে ? এক উপায় আছে। অন্যবাদ এবং সে উপায় বহন বৎসর পাব হইতেই অবলম্বিত হইয়াছে। বঙ্কিমচন্দ্ৰ, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র প্রমািখ বহন বাঙালী সাহিত্যিকের রচনাসমােহ ভারতের বিভিন্ন ভাষায় অনদিত হইয়াছে। বাঙলা ভাষাতেও অন্যান্য ভাষার অনেক গ্রন্থের অন্যবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। অনেকে শনিয়া কৌতহল বোধ করিবেন যে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হিন্দী “বেতাল পাঁচসী”র অন্যবাদ। প্রাচীন কাল হইতেই বাঙলা ভাষায় অন্য প্রদেশীয় গ্রন্থের অন্যবাদ। আরম্ভ হইয়াছে। সপ্তদশ শতাব্দীর বাঙালী কবি আলাওলের রচিত পদ্মাবতী নামক কাব্যখ্যানির নাম বঙ্গসাহিত্যের ইতিহাসে বিখ্যাত। এই কাব্যখানি মালিক মহম্মদ। জৈসীর হিন্দী কাব্য “পদমাবৎ” অবলম্বনে রচিত হইয়াছিল। এই অনাবাদের ধারা, কখনও বা আক্ষরিক অন্যবাদ। কখনও বা ভাবানবাদ, আজ পর্যন্ত চলিয়া আসিয়াছে। কিন্তু অন্যবাদগ্রন্থ নানা কারণে যথেষ্ট পরিমাণে 8S
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৪৭
অবয়ব