সংস্কৃতিতে ঐক্যের সন্ধান পাওয়া শােধ সম্ভবপর নয়, অনায়াস সাধ্য। বিভিন্ন প্রাদেশিক লিপি এ-ক্ষেত্রে যে বাধা সন্টি করে তাহা দরে করা কিছমাত্র দঃসাধ্য নহে। আজ যদি সমস্ত প্রাদেশিক ভাষাই স্বীয় লিপির সঙ্গে সঙ্গে দেবনাগরী লিপিও গ্রহণ করে, অর্থাৎ যদি দেবনাগরী লিপিতেও প্রাদেশিক সাহিত্যাগলির মাদ্রণ হয়, তবে তাহাতে শািন্ধ যে প্রদেশগলির পক্ষে পরস্পরের সংস্কৃতির সবাদ গ্রহণ করার পথ সংগম হইবে তাহা নয়, আপাতদন্টিতে বিভিন্ন সংস্কৃতিগলি একটা সবাভাবিক সমন্বয় এবং সব ভারতীয় ঐক্যের পথে চলিবে। শােধ অনবাদের ভিতর দিয়া কেবল বিভিন্ন সাহিত্যের মািল রস পণভাবে আসবাদ করা যায় না। সব ভারতীয় ঐক্যের জন্য একটি সব ভারতীয় লিপি আবশ্যক —এক্ষেত্রে দেবনাগরীই হইবে সেই লিপি। অবশ্য একথাও মনে রাখিতে হইবে যে, লিপি ভাষা নহে, ভাষার চিহ্নমাত্র। সমগ্র ইউরোপে একই রোম্যান লিপি প্রচলন থাকা সত্ত্বেও সেখানে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক BBBD SD L DBB DBBD DB DDBDS DBBDD DBBD BBDBD DBD প্রাদেশিক সাহিত্যের মািল উৎসও অভিন্ন, সেখানে সব ভারতীয় লিপির প্রচলনের দ্বারা প্রদেশগলির মধ্যে আত্মীয়তা ও সম্প্রীতি বধিত হইবে, প্রাদেশিক ভাষা ও সাহিত্য সমদ্ধ হইবে এবং সব ভারতীয় ঐক্য একটা দঢ়ভিত্তির উপর প্রতিস্ঠিত হইবে। বাঙলা ভাষা ও বাঙলা সাহিত্য আজ যে স্থান অধিকার করিয়াছে তাহা যেমন বাঙালীর গৌরব, তেমনই ভারতের গৌরব; সাহিত্যের দিক দিয়া পথিবীর মানচিত্রে বাঙালীই যে ভারতের স্থান করিয়া দিয়াছে একথা ভারতবর্ষ উপলব্ধি করে এবং আনন্দের সহিত সত্বীকার করে। বাঙলা সাহিত্যের ঐশ্বযে আজ ভারতের সব সাধারণের অধিকার। সে অধিকার যাহাতে তাহারা প্রত্যক্ষভাবে গ্রহণ করিতে পারে তাহার সংযোগ করিয়া দেওয়া আমাদের বিশেষ কতব্য। বিশ্বভারতীর উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের “সঞ্চয়িতা” গ্রন্থ দেবনাগরী অক্ষরে (বাঙলা ভাষাতেই) প্রকাশ করিবার ব্যবস্থা হইতেছে। ইহা আনন্দের সংবাদ সন্দেহ নাই। কিন্তু শােধ “সঞ্চয়িতা” নহে, রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য বাঙলা রচনারও এইরূপ দেবনাগরী সংস্করণ আবশ্যক। বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমািখ সপ্রতিষ্ঠিত বাঙালী সাহিত্যিকদিগের পরিচয় এ-পর্যন্ত অনাবাদের St.
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫৪
অবয়ব