সাহায্যেই অবাঙালী পাঠক-পাঠিকারা লাভ করিয়া আসিয়াছে। ইহাদের গ্রন্থাবলীরও দেবনাগরী সংস্করণ প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন বলিয়া মনে করি। ভারতের বিভিন্ন অংশের সাংস্কৃতিক মিলন সাধনের পক্ষে প্রস্তাবিত এই উপায়কে আপনাদের বিবেচনার জন্য এই সভাসমক্ষে উপস্থিত করিলাম। এই প্রসঙ্গে আরও একটি উপায় বিশেষ চিন্তনীয়। প্রতি বৎসর ভিন্ন ভিন্ন প্রাদেশিক সাহিত্য-সম্মেলন পথিকভাগে আপন আপন সমস্যা আলোচনা করে ও করিবে। কিন্তু ইহা ছাড়া তাহদের প্রয়োজন। কিভাবে ভারতের ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যে নিকট সাহিত্যসাধনার ভিতর দিয়া প্রাদেশিকতার ভাব দরি হয়, ভারতের জাতীয় ঐক্য পরিপন্ট হয় ও ভারতীয় সংস্কৃতি শক্তিশালী হইতে পারে, ইহাই সেই সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হইবে। আমি আশা করি, আমার এই প্রস্তাব বিভিন্ন প্রাদেশিক সাহিত্য-সম্মেলনের কতৃপক্ষেরও দন্টি আকর্ষণ করিবে। বাঙলা সাহিত্যে এক অভাবনীয় জাগরণ শরা হইয়াছে উনবিংশ শতাব্দীতে। ইহার মলে ছিল যেমন বাঙ্গালীর প্রতিভা, অবস্থাও ছিল তেমনই অনাকাল। উনবিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্ত্য শিক্ষা এবং চিন্তাধারার স্রোত বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে জোয়ার আনিয়াছিল। এই রেনেসাঁসের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ। বাঙালী সব প্রথম পাশ্চাত্ত্য ভাবধারার সন্ধান পাইয়াছিল; তাই ভারতে নাতন যাগের বাণী সব প্রথম বাঙালীর কন্ঠেই উচ্চারিত হইয়াছিল। এই ঘটনা হইতেই প্রমাণ হয় জাতীয় জীবনে বিচ্ছিন্নতা এবং সংকীর্ণতাই মাতুত্যু। সমস্ত পথিবীতে জীবনের ধারা বহিয়া চলিয়াছে তাহার সঙ্গে যোগ স্থাপনেই জীবন এবং অগ্রগতি । পিছনে থাকিয়া সবদেশের সংস্কৃতিতে বিধিনিষেধের সংকীর্ণ প্রাচীরের মধ্যে আবদ্ধ রাখিতে চাহিলে আমরা শািন্ধ অচলায়তনই গড়িয়া তুলিব। তাই বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের গতি অব্যাহত রাখিতে হইলে অন্য ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে যোগ রাখিতে হইবে, বিদেশের ভাবধারায়ও অবগাহন করিতে হইবে। এই জন্যই বাঙালীকে এখন পােবাপেক্ষাও অধিকভাবে ইংরেজী, ফরাসী ইত্যাদি 8N
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৫৫
অবয়ব