সংবিধা মত নানা স্থানে অভিনীত হইয়াছিল; কিন্তু মেয়েদের ভূমিকা পতিতা নারীদের দ্বারা অভিনীত হওয়ায় ইহার বিরুদ্ধে প্রচুর আন্দোলনও হইয়াছিল। মজার কথা হইতেছে। এই, এই বিরোধীদলের মধ্যে অনেক শিক্ষিত ইংরাজও ছিলেন। যাহা হোক, দশ্যপটাদিসহ বিদ্যাসন্দরের অভিনয়-কৌশল ভবিষ্যতে নািতন নাটকের প্রযোজনায় একটা সাধারণ নাট্য-রীতির সন্টি করিয়াছিল। কিন্তু অসবিধা হইল, এই সব তরণে মনের আশা পরাইতে পারে এমন কোন বাঙলা নাটক তখন ছিল না। খাঁটি বাঙলা নাটকের অভাবে ইংরাজি নাটকের অভিনয়ে মগ্ধ হইয়া তাঁহারা ইংরাজি নাটকের অভিনয় করিতে লাগিলেন। কিন্তু এইরহপ অভিনয় অলপশিক্ষিত সাধারণ লোকের নাট্য-পিপাসা দর করিতে পারে নাই; কারণ ইহা তাহাদিগের নিকট দিবোধ্য ছিল। ইতিমধ্যে তাহারা নাট্যাভিনয় সম্পবন্ধে বিশেষভাবে সচেতন হইয়া উঠিয়াছিল এবং সর্বভাবতঃই উপযক্ত বাঙলা নাটকের অভিনয় দেখিবার জন্য আগ্ৰহান্বিত হইয়া উঠিয়াছিল। এই সময়ে দই একখানি ক্ষদ্র ক্ষদ্র নাটিকার অভিনয় দেখার সহযোগ তাহদের হইয়াছিল বটে, কিন্তু সেগলি এত দোষ-ত্রটিপণ ছিল যে, তাহা জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান নাট্য-পিপাসা ঘচাইতে পারে নাই। ইংরাজি নাটকের অভিনয় সৌকযে যাঁহারা মািন্ধ হইয়াছিলেন, তাঁহাদের কাছে এই সব নাটকে ভাষা, শব্দ ও রচনারীতির অপপ্রয়োগ, বিষয়বস্তুর আকর্ষণহীনতা, নাট্যকারীদের নাট্য-প্রয়োগ-কৌশল সম্পবন্ধে অজ্ঞতা, যেমন ‘প্রবেশ” ও ‘নিগািমন’ এবং ভিন্ন ভিন্ন দশ্যে নাটকীয় কাহিনীকে বিভাগ করার বিষয়ে যে সকল ত্রটি দেখা গিয়াছিল, তাহা তাঁহাদিগকে নিরাশ করিয়াছিল। ১৮৫৭ সালে পন্ডিত রামনারায়ণ তকরিত্নের একখানি বাঙলা নাটক অভিনয় না হওয়া পযন্ত, বাঙলা নাটক ও নাট্যাভিনয়ের অবস্থা এইরােপ চলিয়াছিল। ইংরাজি ১৮৫৭ সাল বাঙলা নাটকের ইতিহাসে একটি সমরণীয় বৎসর। এই সময়ে এমন একটি নাটকের প্রকাশ হইয়াছিল, যাহার উদ্দেশ্য এবং মৌলিকতা দশকদের বহদিনকার আকাঙিক্ষত নাটকের অভাব পণ করিয়াছিল এবং ইংরাজি নাটক অভিনয়ের যে প্রথা এতদিন প্রচলিত ছিল, তাহার মলে আঘাত হানিয়াছিল। সেই নাটকের নাম CS
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৮০
অবয়ব