দিকটা বাধাস্বরপ হইয়া ওঠে। তথাপি এক্ষেত্রে নিরাশার গহবর হইতে আশার উৎস দেখা দিয়াছিল। গিরিশচন্দ্র নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ধমদাস সার প্রভৃতি বন্ধ ও প্রতিবেশীদের সহিত পরামর্শ করিয়া স্থির করিয়াছিলেন যে, খরচের সবলপতার দিক দিয়া যাত্রা পার্টির স্থাপনা করা মন্দ নয় এবং তদনযায়ী ১৮৬৭ সালে তাঁহারা বাগবাজারে একটি কোম্পানী সম্মিট করিয়া মধ্যসাদনের “শমিঠা” অভিনয়ের আয়োজন করিয়াছিলেন। কয়েকটি অতিরিক্ত গানের প্রয়োজন হওয়ায় প্ৰসিদ্ধ গীতকার প্রিয়মাধব মল্লিককে রচনা করিবার জন্য অনরোধ করা হয়, কিন্তু তিনি কোন প্রকার উৎসাহ না দেখানোতে উদ্যোক্তারা নিজেদের শক্তির উপর নিভাির করেন। কাজটি গিরিশচন্দ্রকে দেওয়া হয় এবং তিনি তাঁহার বন্ধ, উমেশচন্দ্ৰ চৌধরিীর সহযোগে প্রয়োজনীয় গানগলি৷ রচনা করিয়া ফেলেন। শামিল ঠার অভিনয় হয় এবং বাগবাজারে সে অভিনয়ের প্রশংসাও যথেস্ট শোনা গিয়াছিল। ইতিমধ্যে গিরিশচন্দ্র থিয়েটার কোম্পানী স্থাপনার বিষয়ে তাঁহার মনোগত ইচ্ছার কথা ভুলিয়া যান নাই, যদিও আনষঙ্গিক ব্যয়ের অসম্ভব্যতা বিশেষভাবে তাঁহার মনকে আলোড়িত করিতেছিল। যাহা হোক, একটি সন্দর সংযোগ শীঘ্রই তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়াছিল। এই সময়ে দীনবন্ধ মিত্র তাঁহার “সধবার একাদশীর” অভিনয় করাইয়াছিলেন এবং সেই অভিনয় অভূতপােবভাবে লোকপ্রিয় হইয়াছিল এবং লোকের মাখে মখে তাহার আলোচনা চলিতেছিল। বাঙলার তরণদের মখে তখন নিমচাঁদের অজস্র প্রশংসা শোনা যাইতেছিল। গিরিশচন্দ্র দরদটির বলে তখনই অলপ ব্যয়ে এই নাটকের অভিনয়ের কথা ভাবিয়াছিলেন। ব্যয়বহল অভিনয় করিবার ক্ষমতা তখন তাহদের ছিল না। এই নাটক সামাজিক বিষয়ের হওয়ায়, উদ্যোক্তারা এতদিন পর্যন্ত যে বিপদের সম্পমখীন হইয়াছিলেন, তাহা অনেকটা কাটিয়া গেল। পোশাক-পরিচ্ছদ বিষয়ে কোন খরচ ছিল না, কারণ ইহাতে বাঙালী ঘরের সাধারণ পরিচ্ছদের দ্বারা অভিনয় করা চলিবে। দশ্যপট বিষয়ে গিরিশচন্দ্ৰ বলিয়াছিলেন যে, তাহা মোটামটি সহজভাবে রচনা করা হইবে। এই প্রস্তাব সন্দির মনে হওয়ায় তরণেরা তৎক্ষণাৎ কাজে লাগিয়া গিয়াছিলেন। বাগবাজারের হরলাল S
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৮৭
অবয়ব