পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়াছে।” “জীবনচন্দ্রের ভূমিকায় অধোিন্দশেখরের अङिनन्न७ नाप्नेকারের নিকট হইতে কম প্রশংসা পায় নাই। ১ম অঙ্ক, ২য় দশ্যে অধোিন্দ যখন ‘জীবনচন্দ্র রপে রঙ্গমঞ্চ হইতে বাহিরে যাইবার সময় ‘আটল”-কে লাথি মারিয়া নাট্যকারের কলপনাকে অতিক্ৰম করিয়াছিলেন, তখন নাট্যকার তাঁহার মহান ভবতার বশে সস্বীকার করিয়াছিলেন যে, ইহা নাট্যকারের কলপনাকে নিশ্চিতরাপে উন্নত করিয়াছে। চতুর্থ অভিনয়ও যে সন্দর ও হৃদয়গ্রাহী হইয়াছিল, বাবা (পরে বিচারপতি) সারদাচরণ মিত্র নিজে দশক-হিসাবে উপস্থিত থাকিয়া ১৩২৩ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসের “বঙ্গদর্শনে’ যে প্রশংসাসাচক সমালোচনা লিখিয়াছিলেন, তাহা হইতে প্রমাণ পাওয়া যায়। চোরবাগানের অধিবাসী বিখ্যাত অভিনেতা অমরেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ লক্ষীনারায়ণ দত্তের বাড়িতে যে সপ্তম অভিনয় হয়, তাহার বিশেষ আকর্ষণ। এই ছিল, সেখানে এই নাট্যকারের লেখা “বিয়ে পাগলা বড়ো” নামে একটি নতন প্রহসন অভিনীত হয়। এই প্রহসনের প্রস্তাবনা-হিসাবে গিরিশচন্দ্র নিক্ষেনের কয়েকটি চরণ লিখিয়াছিলেন এবং সধবার একাদশীর অভিনয়-অন্তে নিমচাঁদের” বেশে তিনি আব্বত্তি করিয়া নািতন প্রহসনের অভিনয়-সচনার সংকেত দিয়াছিলেন। “মাতলামীটে ফরিয়ে গেল, দেখােন বড়োর রং। বাসর ঘরে টােপর পরে কিবা বিয়ের ঢং ৷ আয়না, নাসে, রীতা কোথা, যা পারিস তা বল। ক্ষমা করবেন দোষ আমার রসিক মন্ডল ৷ আসছে এবার ছোঁড়ার দল, ভুবনো নিসে রাতা। সভ্যগণ নমস্কার, ফরালো আমার কথা৷” অধোিন্দ এবং রাধামাধব যথাক্রমে ‘রাজিব’ এবং ‘রতার ভূমিকা গ্রহণ কারিয়াছিলেন । এই উৎসাহী দলের পরবতী কৃতিত্ব হইতেছে, দীনবন্ধ মিত্রের আর একখানি নাটক ‘লীলাবতীর” অভিনয়। এই অভিনয়ের বৈশিষট্য একাধিক ছিল এবং ইহা যে কেবল বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের উন্নতির সহায়তা করিয়াছিল। তাহা নয়, ইহা বাঙলায় স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ স্থাপনের সহায়ক Ե8