জাহাজে ভ্ৰমণকালে সে রং তৈরির কাজ শিখিয়াছিল এবং বাগবাজারের সকল লোক তাহার এই গণের কথা জানিত। ধমীদাস যখন দশ্যপট অঙ্কনের কাজে ব্যাপতি ছিলেন, তখন এই ম্যাকলীনকে কাজে লাগাইবার কথা প্রথম তাঁহার মনে হইয়াছিল। তিনি ম্যাকলীনের সহিত এই চুক্তি করিয়াছিলেন যে, তিনি তাহাকে খাইতে দিবেন এবং তাহার পরিবতে সে দশ্যপট অঙ্কিত করিবার জন্য রং তৈরি করিয়া দিবে এবং রঙ্গমঞ্চের তক্তাগলি পাহারা দিবে। তাঁহারা যখন রঙ্গমঞ্চ স্থাপনের এই প্রকার প্রাথমিক কাজগালি করিতেছিলেন, তখন এমন একটি ঘটনা ঘটিল। যাহাতে বাগবাজারের দলের উৎসাহ আরও বাড়িয়া গেল। ‘অমতবাজার পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হইল যে, ‘লীলাবতী” নাটকখানি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক পরিবতিত এবং সংক্ষিপ্ত করিয়াছিলেন সস্বয়ং বণ্ডিকমচন্দ্র এবং অক্ষয়চন্দ্র সরকার। এই সংবাদে পড়িয়াছিল। একটি অজ্ঞাত প্রতিদ্বন্দ্বিন্দলের এই সাফল্যে বিষন্ন হইয়া নগেন্দ্র, অধোিন্দ, ধমীদাস এবং আরও কয়েকজন তৎক্ষণাৎ গিরিশচন্দ্রের নিকট দৌড়িয়া গেলেন এবং বলিলেন, “আমরা চুচড়োর দলের কাছে হেরে যাব, আর তাই তুমি দেখবো?” ইহাতে উৎসাহিত হইয়া গিরিশ খবই জোরের সহিত বলিলেন, “একটি কথাও না বদলিয়ে আমরা এই নাটক অভিনয় করবো এবং চুচড়োর দলকে যে কোন উপায়েই হোক হারিয়ে দেব।” প্রত্যেক সভাই আরও উৎসাহ এবং শক্তি সহকারে নিজ নিজ কাজ দিন-রাত্রি খাটিয়া সম্পপণ করিবার চেষটা করিতে লাগিলেন। নাট্য-শিক্ষার কাজ গিরিশচন্দ্র নিজে লাইলেন এবং তাঁহার ক্ষমতামত সকলই শিখাইলেন। সধবার একাদশীতে যেমন গান লিখিয়াছিলেন, তেমনি মাঝে মাঝে প্রয়োজনমত এই নাটকের জন্যও গান লিখিলেন। ধমদাস অতি সত্বর দশ্যপট অাঁকা ও রঙ্গমঞ্চ তৈরির কাজ সম্পণে করিতে লাগিলেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তাঁহার পরিবতে সেখানকার কাজের ভার লাইলেন একটি মহাপ্ৰাণ যােবক (অমতিলাল বস)। প্রারম্ভিক কায শেষ হইলে, বাগবাজার দলের সমবেত চেন্টায় জলাই মাসের ১৮৭১ সালে লীলাবতীর অভিনয় Ե \Ն
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯২
অবয়ব