থিয়েটার” নাম লইয়া এইরােপ স্বলপ সাজসজায় ভূষিত রঙ্গমঞ্চের অভিনয়ে আশানরাপ টিকিট বিক্রয় হইবে না এবং তাঁহা না হইলে গিরিশচন্দ্রের মতে ইহা বড়ই অসাময়িক এবং পরিতাপের বিষয় হইবে। কিন্তু অধিকাংশ সভ্যই গিরিশচন্দ্রের মতের বিরোধী ছিলেন বলিয়া গিরিশচন্দ্র এই থিয়েটারের সংস্রব ত্যাগ করিলেন এবং তাঁহার অনগামী হইলেন রাধামাধব কর, যোগেন্দ্রনাথ মিত্র, সরেশচন্দ্ৰ মিত্র, মহেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বেণীমাধব মিত্রকে এই থিয়েটারের সভাপতি করা হইল। উড সাহেবের যে ভূমিকা গিরিশচন্দ্ৰ লইয়াছিলেন, তাহা অধোিন্দ গ্রহণ করিলেন। অন্যান্য ভূমিকাগলি গ্রহণ করিলেন অধোিন্দ, মতিলাল সাের, মহেন্দ্রলাল বস এবং আমতলাল বস। এই সময়ে আমতলাল কিছদিনের জন্য বারানসী হইতে কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। তাঁহারা জোড়াসাঁকোর মধ্যসদন সান্যালের গহ-প্রাঙ্গণটি (বতর্তমানে ৩৬৮, আপার চিৎপর রোডস্থিত মল্লিকদের ‘ঘড়িওয়ালা বাড়ি’ নামে পরিচিত) ভাড়া করিয়া, সেখানে একটি রঙ্গমণ8 তৈরি করিয়া ১৮৭২ সালের ৭ই ডিসেম্বর নীলদাপািণ অভিনয় করিলেন। বাঙলা রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে ইহা একটি সমরণীয় দিন, কারণ এই দিনে এমন একটি নতন যাগের সন্টি হইয়াছিল, যাহা সম্পপণভাবে অবৈতনিক অভিনয়ের ধারার পরিবতন করিয়াছিল। অভিনয় অতি সন্দর হইয়াছিল এবং এই অভিনয়ে ৫৫o৩ টাকা প্রবেশমল্য পাওয়া গিয়াছিল। নীলদপণের BB BB DBDBB BDDD DDBDS DDD BDDD BB DDBD BBD বড়ো অভিনীত হইয়াছিল। ক্ৰমে দীনবন্ধর নাটক ফরাইয়া আসিল এবং দশকদের মধ্যে একই নাট্যকারের নাট্যাভিনয় বিষয়ে ক্লান্তি আসিয়াছিল; তাহার ফলে টিকিট বিক্রয়ও কমিয়া গেল। ইহার পরে এই দল মধ্যসাদনের কৃষ্ণকুমারী নাটক অভিনয়ের আয়োজন করিতে লাগিল, কিন্তু তাহাদিগের মধ্যে ‘ভীমসিংহের ভূমিকা অভিনয় করিতে পারে, এমন লোকের অভাব হইল। এই সময়ে গিরিশচন্দ্রের অনপস্থিতি বিশেষভাবে সকলের মনে হইতে লাগিল এবং তাঁহারা গিরিশচন্দ্রের নিকট গিয়া তাঁহার সাহায্য ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করিলেন। গিরিশচন্দ্র অবৈতনিক অভিনেতা-হিসাবে যোগদান করিতে সক্ষমত হইলেন। তাঁহার bዖ b;
পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯৪
অবয়ব