বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্যামাপ্রসাদের কয়েকটি রচনা.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা ও অধিনায়কত্বে কৃষ্ণকুমারী।” ১৮৭৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি অভিনীত হইল এবং গিরিশচন্দ্ৰ ভীমসিংহের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইলেন। প্রেক্ষাগােহ দশকের ভীড়ে ভরিয়া গেল এবং ইহার অভিনয় পণ গৌরবে কিছদিন চলিতে লাগিল। আয়ের দিকটা বাড়িল বটে, কিন্তু শীঘ্রই দলের মধ্যে পরিচালনা বিষয়ে নানা প্রকার গোলমাল দেখা দিল। পরিচালনার সাব্যবস্থার জন্য তিনজন পরিচালক নির্বাচন করা হইল এবং সেই তিনজন পরিচালক হইতেছেন — গিরিশচন্দ্র ঘোষ, অমতবাজার পত্রিকার সম্পাদক শিশির কুমার ঘোষ এবং নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতা দেবেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইহাতেও ভিতরের ঝগড়া থামিল না এবং ১৮৭৩ সালের মার্চ মাসে কৃষ্ণকুমারীর প্রথম অভিনয়ের চারি মাস পরে ন্যাশন্যাল থিয়েটার বন্ধ হইয়া গেল। এই দল ভাঙিয়া আবার দাইটি দল হইল। প্রথম দলের অধিনায়ক হইলেন নগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় দলের অধিনায়ক হইলেন ধমীদাস সর। প্রথম দলে রহিলেন অধোিন্দ, আমতলাল বস, আমতলাল মখোপাধ্যায় এবং আরও কয়েকজন। এবং রাজেন্দ্রলাল পাল। এখন হইতে প্রতিযোগিতা করাই এই দই দলের কায হইল, এবং সেই প্রতিযোগিতায় বিদ্বেষভাব সমানভ প্রকাটিত হইতে লাগিল এই সময়ে সবিখ্যাত সাতুবাবর পৌত্র শরৎচন্দ্র ঘোষ নিয়মিত ন্যাশন্যাল থিয়েটারের অভিনয় দেখিতে যাইতেন এবং কলিকাতায় একটি সাধারণ রঙ্গমঞ্চ স্থাপনে ইচ্ছক হইয়াছিলেন। তিনি ১৮৭৩ সালে আগস্ট মাসে নাট্য-পরিচালনা বিষয়ে অভিজ্ঞ বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায় এবং অখিলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহায়তায় বিডন সন্ট্রীটস্থ সাতুবাবর বাড়ির সম্পমখস্থ একটি টালি-ছাওয়া বাড়িতে ‘বেঙ্গল থিয়েটার’ নাম দিয়া একটি রঙ্গালয় হঠাৎ গড়িয়া তুলিলেন। এখানে মেয়েদের ভূমিকা অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী সংগ্রহ করা হইল। মধ্যসাদনের শমিষ্ঠা ও মায়া-কানন এবং উঃ! মোহন্তের এই কি কাজ! নামক একটি চিত্তচমৎকারী প্রহসনের অভিনয় বেঙ্গল থিয়েটারে হইল। শেষের অভিনয়টি হইতে কোম্পানীর যে আয় হইল। তাহা তখনকার দিনে অভাবনীয়। b's